Monday, November 7, 2016

দ্য বিগ শর্ট - ডকু আর ফিচারের বিভাজন রেখা

এবারে বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে প্লেনে একটা সিনেমা দেখতে দিয়েছিলো - "দ্য বিগ শর্ট"। ২০০৭ সালে আমেরিকা জুড়ে আর্থিক মন্দার কারণ-টারণ, কয়েকজন অতি-জিনিয়াসের সেই ব্যাপারে পুর্বাভাস দেওয়া, আর - অবভিয়াসলি - কেউ তাদের পাত্তা দেয় নি, সেই নিয়ে গল্প। বইটা নিয়ে বলার কারণ হল এতে একটা ব্যাপার এত বেশী করে আছে যেটা প্রায় আর রিসেন্টকালে দেখি নি আমি। সেটা হল প্রচুর টেকনিকাল ব্যাপার এবং শব্দের ব্যবহার যেটার সাথে সাধারণ দর্শকের কোনোও পরিচয় নেই। টেকনিকাল বলতে অর্থনীতি রিলেটেড। প্রশ্ন আসতে পারে যে, একজন বাঙাল না হয় "মর্টগেজ","ট্রিপল-এ" এইসব টার্ম বুঝতে পারবে না, কিন্তু ফিল্মটা তো মার্কিন নাগরিকদের জন্যে বানানো। কিন্তু উল্টো তর্ক করলে বলতে হয় "বিশ্বাস করুন, একজন গড় আমেরিকানও ওই দুটো শব্দই জানে আর এতে আরো দুশোটা ওরকম ব্যাপার চোদানো হয়েছে"। এমনকী, কয়েকটা ব্যাপার এতো কঠিন যে একটা নায়িকা, এক রাঁধুনী, একজন গায়িকা এবং আরেক আর্থ-সমাজতাত্ত্বিককে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে (ক্যামিও) সহজভাবে বুঝিয়ে ফেওয়ার জন্যে। রকেট সিং করার সময়েও পরিচালক অ্যাতো চাপে ছিলেন না আরো বড় কথা, একটি চরিত্র তো প্রায়ই চার নাম্বার দেওয়াল ভেঙে টেঙে আমাদের বোঝাচ্ছিলেন যে এই সীনটা যদি না বুঝে থাকেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। তা কথাটা হল, কতটা পরিভাষা বলা যাবে ফিল্মে। এখানে একটা আননোন ভাষায় সিনেমার কথা হচ্ছে না, কারণ তাতে সাবটাইটেল থাকে। এখানে বলা হচ্ছে মানুষের "শাশ্বত অনুভূতি" কতটা কম রাখা যাবে সেই নিয়ে। এবার তাতেও ঝামেলা আছে। কারণ একজন বাঙালীকন্যার পক্ষে যা "ফ্যাদড়া প্যাঁচাল" সেটা একজন অ্যামাজনকন্যার কাছে "দৈনিক রুটিন" হতে পারে। উল্টোটাও যেমন সত্যি, কথাটা ছেলেদের ক্ষেত্রেও খাটে। অতএব, সেই নিয়ে তর্কটা আপাততঃ তুলে রেখে দেখা যাক একজন সাধারণ লোকের শাশ্বত অনুভূতির দৌড় কতটা। মানে মেজরিটি জনসমাজের সাধারণ লোক। মানে আনন্দবাজার আর গুগল যাকে মেজরিটি বলছে।

আমরা নতুন জিনিস দেখলে খুব খুশী হই। নতুন মানে কিন্তু একধাপ নতুন। অন্য গ্রহ-টহ আমাদের কাছে জলভাত হয়ে গেছে, কিন্তু "গ্রাভিটি"ই বুঝতে পারলাম না। এখন তো আমাদের দেশেও টাইম ট্রাভেল নিয়ে গল্প দেখানো হচ্ছে, "ইন্টারস্টেলার" দেখে বুঝি না বুঝি, নোলানের জন্যে নতুন ধুপকাঠি কিনে আনলাম, এদিকে "প্রাইমার"এর নামই জানি না। কয়েকজন তো "সোশাল নেটয়ার্ক" (যেটা আসলে কিনা কোর্টরুম ড্রামা) দেখে নাকি অ্যালগোরিদম শিখছিলো শুনেছিলাম, এদিকে ম্যাট্রিক্সের পরের পার্টগুলো কেন খারাপ সেটা জিগ্যেস করলে বলে "সেই তো একই অ্যাকশন"। স্নব, আঁতেল যা ভাবার ভাবুন - মোদ্দা কথা হল বাংলায় বা হিন্দিতে ভালো টেকনিকাল বই নেই। টেকনিকাল বলতে আমি নন-"শাশ্বত অনুভূতি"-বেসড থীমের কথা বলছি। তাও একবার "শিপ অফ থিসিয়াস" হয়েছিলো, সেটা নাকি আমির খান থেকে কমল রশিদ খান সবাই হা করে দেখেছিল। তারপরে আর আনন্দ গান্ধী বা প্লুটার্কের কোনো খবর পান?! কেউ "বার বার দেখো" ভালো বলছে না শুনে মনে হচ্ছে মালটা হেব্বি দাঁড় করিয়েছে, কিন্তু পাবলিককে ভরসা নেই। এমনকী পুলিশ স্টেশন বেশীক্ষণ দেখালেও লোকে হিরো আর হিরোইন অকর্মণ্যতার কথা বলে। এটা শুধু ভারতবর্ষে নয়, মেঘালয় থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত বর্ষে বর্ষে, দলে দলে রিপিট হয়ে আসছে। তো সেই হিসেবে, "দ্য বিগ শর্ট" একটা ডকুমেন্টারি হওয়ার কথা। কারণ আমরা হেট স্পিচ আর প্রোপাগান্ডা কিল্ম ছাড়া কোনো তথ্যচিত্রের নাম জানিনা। কিন্তু এটাকে ডকুমেন্টারি বলা যাবে না, কেননা লোকে পার্ট করছে। তাহলে কি এটা সেই "সাবধান ইন্ডিয়া" বা "ক্রাইম প্যাট্রোল"এর মত ডকুড্রামা?! এখানে বলে রাখা ভালো, এগুলোকে অভিহিত করা হয় "মকুমেন্টারি" বলে। মানে মক ডকুমেন্টারি আর কি। মানে খুব আনস্ক্রিপ্টেড একটা ব্যাপার মনে হবে, যেখানে ক্যামেরাকাজ মাঝে মাঝে খুব জার্কি ও গেরিলা টাইপের হবে। রিয়েল লোকেশন আর মানুষজন থাকলে ভালো হয়। আবার আমি অপারগ, দেশী বইয়ের নাম মনে পড়ছে না। ল্যারি চার্লসের "বোরাট" বা "ব্রুনো" হালফিলের খুব পরিচিত নাম। ব্যাপার হচ্ছে, এই আমাদের মত "শাশ্বত অনুভূতি"-ওয়ালা লোকজন সবকিছুকে একটা নিয়মের মধ্যে ফেলতে ভালোবাসি। যাকে রবীন্দ্রনাথ তাসের দেশে খুব করে বকেছিলেন, আর জোকার "দ্য ডার্ক নাইট"এও বেশ কাঁচকলা দেখানোর চেষ্টা করেছিলো। আমরা কি করি, কিছু না মিললে বলি ওটাই নতুন ফর্মুলা। আজকাল বন্ধুত্বের সিনেমাগুলোকে বলা হয় "ব্রোমান্টিক মুভিজ"। ওই "স্টার ওয়ার্স" আর "স্টার ট্রেক"এর সাফল্যের পরে প্রচুর একই থীমের ছবি বানানো হত। যেগুলোতে অন্য গ্রহে লোকজনের গুলিগালা দেখানো হত, সেগুলোকে বলা হত "স্পেস ওয়েস্টার্ন"। বালের ক্যাটেগরাইজেশন সব। তেমনিই, মকুমেন্টারি বলে আলাদা আদিখ্যেতা করার কিছু নেই। কিন্তু এগুলোকে ডকুড্রামা বলারও বিপদ আছে। কারোন খুব একটা মৌলিক পার্থক্য হল (সো-কলড) মকুমেন্টারি আসলে আসল স্থান-কাল-পাত্রের মধ্যে দেখানো নকল ঘটনা, আর (সো-কলড) ডকুড্রামা হল নকল লোকদের নিয়ে বানানো আসল স্থান-কাল-পাত্র। আবার বলছি, আসল নকল বলছি আমাদের জ্ঞান ও অনুভূতির বিচারে। এই লেখায় কোনো "শাশ্বত" কথা ইউজ করার সাহস পাইনি। অন্যদিকে, কেনই বা বলা যাবে না এই নিয়েও তর্ক চলতে পারে। কারণ, "ডেথ অফ এ প্রেসিডেন্ট" নাকি একটা ডকুড্রামা।

আর দুটো ঘটনার নাম বললে পরের রিভিউগুলোয় যাবার একটা পোর্টাল তৈরি হয়। এক, ঋতুপর্ণ ঘোষের "জীবনস্মৃতি - সিলেক্টিভ মেমোরিজ"। ভাবা যায়, বাঙ্গালীর প্রিয় ঋতুপর্ণ-কে "চিত্রাঙ্গদা"র থেকেও বেশী খিস্তি শুনতে হয়েছিলো এই রবি-ডকু টি করে। এখানে ভদ্রলোক অসম্ভব একটি কাজ করেছিলেন যেটা ইউরোপীয় আর্টফিল্মে হয় বলে শুনেছি। ল্যারি চার্লসও প্রচ্ছন্নভাবে করেছিলেন "রিলিগুলাস" বলে বিতর্কিত একটি ছবিতে। সেটার মার্কেটিং ফিচারের মত হলেও আদতে একটা ডকুমেন্টারি ছিলো। তা কী সেই ব্যাপারটা, না, আবার সেই ব্রেকিং ফোর্থ ওয়ালের তত্ত্ব। যেটা ওই ব্লগটায় লিখতে ভুলে গেছি, সেটা হল, দেওয়াল ভাঙ্গার অধিকার শুধু অভিনেতাদেরই নেই। প্রথমতঃ, তখন মোটামুটিভাবে ক্লাসিক ফিল্ম স্টাইল নিয়ে বলা হচ্ছিল, যেখানে পরিচালক হুট করে সীনে ঢুকে পড়েন না। ফিচারে তো নয়ই*, ডকুমেন্টারিতেও বাহুল্যে। ঋতুপর্ণ করলেন কী, উনি রবিঠাকুরকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেন ও ভালোবাসেন (বা সার্কাজম ধরলে উল্টোটা) সেটাও স্ক্রিনে দেখালেন রবিজীবনের পাশে পাশে। আরো মারাত্মক - ওই শহুরে মানুষটাকে বোলপুরে শুটিং করতে গিয়ে কি গরম আর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়েছে। তথ্যচিত্রের একটা লক্ষণ যদি সততা হয় তাহলে তো এই ব্যাপারটা প্রায় পর্নোগ্রাফির মত সৎ। কিন্তু বাঙালী ইমিগ্রেশন অফিসারের মত। কিউ আর ঋ এর নাম বুঝতে না পেরে বাঙালী "তাসের দেশ"কে হতচ্ছেদ্দা করে ক্ষমা করে দিয়েছিলো, এবারে আর ছাড়ান নেই। যদিও ডকুমেন্টারিতে ডিরেক্টরকে দেখানো কিছু মারাত্মক অপরাধ নয়, তবুও ছোটোবেলা থেকে শুনে এসেছি ডকুমেন্টারি হবে খবরের মত নিরপেক্ষ। সেখানে নির্দেশকের মতাদর্শ হইবে পোকারফেসের ন্যায়, আর বাকি ক্রু বোকার বেশে থাকিবে। তা খবর যখন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে জন্মলগ্ন থেকে - কিংবা হয়তো তার দরকারও ছিলো (গণশক্তির ক্লিশে হওয়া ট্যাগলাইন দ্রষ্টব্য) - তখন ডকুমেন্টারিই বা বাদ যায় কেন। তবুও গনজো জার্নালিজমের মত গনজো ডকুমেন্টারিকেও মানিনি আমরা। এবারে দুই নাম্বার বই - সত্যজিৎ রায়ের "র‍্যাবিন্দ্রানাথ টেগোর"। তারো স্টাইল সেম, ডকুড্রামার পাশে ডকুমেন্টারি। কিন্তু জনগণের আর ফিল্ম-ক্রিটিকদের মনেই নেই যে সেখানেও যখন মানিকবাবু ন্যারেট করছিলেন, সেখানেও তার গলা থেকে জায়গায় জায়গায় দরকারমতো শ্রদ্ধা/বর্ণনা/সমালোচনা ঝরে পড়ছিলো। আমরা সবাই মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী।

আবার সেই কথা ঘ্যানঘ্যান করার, যে লোকটা সিনেমা বানাচ্ছে, তার ইচ্ছেমত সে টেকনিকাল জারগন্স বলতে পারে। সে অভিনেতা-পরিচালক তো বটেই, পারলে ক্যামেরাম্যান আর ক্যামেরাকেও সিনেমাতে নিয়ে আসুক। ডকুমেন্টারি কে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বানাক। কিন্তু একটি ক্যাচ আছে। ঠাকুর বলেছেন, যত মত তত পথ। তা সিনেমার ফর্ম বা কনটেন্টের বেলায় এই তত্ত্ব খাটলেও উদ্দেশ্য কিন্তু দুরকম। দেশ বা পাড়ার সম্মান টম্মানের বার না খাইয়ে দিলে, মোটামুটি সকল আর্টের লক্ষ্যই বিনোদন। দুরকম বললাম, কারণ বিনোদন ভদকা নয় বলেই এর কোনো অ্যাবসোলিউট যাপন নেই। হেন্স, (১) নিজের এবং (২) অন্যের বিনোদন। এবার যদি আমি নিজের জন্যে ছবি বানাই, তাহলে কিন্তু পয়সা নেই পয়সা নেই করে প্রোদিউসারের কাছে রেন্ডি-রোনা করা যাবে না। কারণ বিপদ বুঝেই গাড্ডায় নামা হয়েছিলো। আর যদি একটা স্পেসিফিক জনতার জন্যে বানাই, তাহলে নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা আলমারিতে ন্যাপ্তহলিন দিয়ে কদিন বন্ধ করে রাখাই ভালো। কারণ, ওই বাংলা সিরিয়ালে যেমন বলে, "হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না"। কিছু কিছু গাণ্ডুদের তো শুনেছি "নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন" ও তিন-চার বার করে দেখে। অবশ্য যে ওল্ড ম্যানের কথা (না রে বাবা রবীন্দ্রনাথ না) বারবার করে বলছি, তার একটা রিসেন্ট কাজ বলে শেষ করি। ভদ্রলোক এতদিন চরম কিছু ছবি বানআনোর পরে এবারে নিকোলাস কেজকে নিয়ে ভেবেছেন, অ্যান্ড ইয়েস, হী ইজ প্রাক্টিক্যালি ওয়ার্কিং ফর দ্য গড (অফ ইন্টারনেট)। কী ভেবেছেন দেখা যাক



~এবারে বই কেমন হল সেটা~
দেখুন, সিনেমাটা বানিয়েছেন স্টিভ ম্যাকি বলে একজন যিনি নাকি আগে "অ্যাঙ্করম্যান" আর "ট্যালাডেগা নাইটস"এর পরিচালক ছিলেন। সেখান থেকে এই সিনেমায় আসা একটা উত্তরণ। স্করসেসের থেকেও ভালো কারণ "রেজিং বুল", "ক্যাসিনো", "গুডফেলাস" বা "উলফ" আসলে একই সিনেমা। এই উত্তরণকে প্রায় আনন্দ গান্ধীর সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট থেকে "শিপ অফ থিসিয়াস" বা শিরীষ কুন্দরের "জোকার" থেকে "কীর্তি"তে আসার মত। আমি এন্টারটেনড। কয়েক মাস ধরে ভাবছিলামই যে এটা দেখবো দেখবো, ইন্টারনেটে সাবটাইটেল পাচ্ছিলাম না। তা দেখলাম, ওইসব হাবিজাবি টার্মস বুঝতে না পারলেও সিনেমা তরতর করে এগোচ্ছে। এডিটিং চমৎকার। অতগুলো স্টার কাস্ট করেও ধ্যাড়ায়নি। মার্গট রবির প্রেমে পড়ে যাই ওর যেকোনো সীন দেখলে, এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গল্পের প্রিলিউড, রেজলিউশন টেক্সটবুক এবং দারুণভাবে এক্সিকিউটেড। শেষে কী হবে জানা থাকলেও ক্লাইম্যাক্সগুলোতে টেনশন কম হয়নি। সাইড রোলেরা মুখ্য চরিত্রদের থেকেও ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, সিনেমাটার যে একটা অন্তর্লীন প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা ছিল, সেটা প্রায় সার্থক। এমনিতেই বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে ঝাঁট জ্বলে ছিলো, এই বইটা দেখে আমেরিকায় ফিরতে ভয় ভয় করছিলো। নেহাত বাজে কিছু বলতে হয় বলে বলছি, স্টিভ ক্যারেলের রোলটাকে একটু বেশীই মানব্দরদী বলে দেখিয়েছে, সে যতই তার ভাইয়ের মৃত্যুতে কাতর থাকুক না কেন।

__________________________________________________
*এসব অবশ্য আদিমকালের কথা। এখন আমাদের দেশে ফিল্মে যা শুরু হয়েছে, পরিচালক অন্য পরিচালকের বইতে অভিনয় করছে, তিনি আবার তার প্রতিদান দিচ্ছেন, ক্যামেরাম্যান সিনেমা বানাচ্ছে, মিউজিক ডিরেক্টর স্টিল তুলে দিচ্ছে, এডিটর ব্যাকগ্রাউন্ড মারাচ্ছেন, পরিচালক প্রি-রিলিজ ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, অ্যাক্ট্রেস প্লেব্যাক গাইছে, সিঙ্গার ওয়ারড্রোব সামলাচ্ছেন - পুরোই মাল্টিডাইমেনশনাল সুব্রত মুখো কেস। লাস্টেরটা অবশ্য বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে স্বাভাবিকটাই লিখে ফেললাম, না?!