Wednesday, September 27, 2023

অসমাপ্ত/বিস্মৃত ক #2

 সকালে অফিস যাই, রাতে বাড়ি ফেরা

ম্যানেজার ডেকে রোজ খুব করে জেরা

গাঁজা খাবার পরে ভালো লাগে দুধ

ওরে




__________

*Pocharam, Andhra Pradesh [now, Telengana], India ['12]

অসমাপ্ত/বিস্মৃত ক #১

 অসীম সময়ে লোকে কী করবে বলো

বাঙালী, চৈনিক, গ্রীক, রোমান বা গল-ও

এইসব বালবিচি চিন্তার অবকাশ

প্রিয়দা, সুষমা হোক, কি মুকুল বা প্রকাশ

সবার লেজারটাইম একইভাবে কাটে

ওই জলসা বা রূপসী, ম্যাক্স আনন্দ বা আটে

বড়জোর একটু আধটু নস্টালজিয়া

শালিমার, গোমসস্যার কি আবদুলমিঞা

আমাদের বেশির ভাগ আঁতেল ইনসাইড

আরেক টাইমপাস আরেকবার ঘুম

স্বপ্নের চেষ্টা, দোষ, সন্ধানী-রুম

নেট না থাকলে অবশ্য ফোনটোন হয়

জামশেদপুর, পানাগড়, মিতালিদি, শুভময়

নেট থাকলে অবশ্য কোনো কথা নেই

গুগল, বিং, ইয়াহু কিংবা টরেন্টেই

আমাদের মজ্জায় আবার অন্যরকম দোষ

ওয়াচোস্কি, কে আব্বাস থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ

অবশ্য এইরকম পিস কম নেই বস

হুতোম থেকে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কস

এইটুকু অন্ত্যমিল জোর করেই দেওয়া

চন্দ্রবিন্দুর কিছুটা, বাকি শ্রীজাতর থেকে নেওয়া

এই থেকে মনে পড়লো হেডফোন মাস্ট

অরিজিৎ, সেমিক্লাসিকাল,

আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝে গানটানও চলে




__________

*Pocharam, Andhrapradesh [now, Telengana], India ['12]

Written Reviews back from 2012 : Vicky Donor [অসমাপ্ত/বিস্মৃত]

 "সবাই তো বলছে এই বছর মেসেজ চুদিয়েছে নাকি ভিকি ডোনার। প্রথেমই একটু খিল্লি। একটা গ্রুপ আছে - অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ। ওরা বিভিন্ন উঠতি কবি/আঁতেলদের দিয়ে পান আর পাঞ্চ লিখিয়ে জেপিজি বানিয়ে আপলোড করে। প্রথমদিকে কী মাঝেরদিকে একটা জোক ছেড়েছিলো, 'ভিকি যদি ডোনার হয় তবে সৌরভ কার' /**এই গ্রুপটি উত্থানকালে আরেকটি অসাধারণ ছেড়েছিলো, ফেসবুক না টুইটারের সাইন আপ পেজ, তার উপরে বাংলা স্ক্রিপ্টে লেখা '_?!_' [*] **/ এটা অবশ্য সত্যি যে ইটা সত্যিই জোক্স এপার্ট, সৌরভ এই ছবিতে কোথাও নেই। বাঙালি থাকলেও সৌরভ নেই :(। তবে ফুটবল আছে। মোহন নামে একজন বড়ো ফুটবলার ছিল এবং তার নামে একটা একটা ক্লাব খোলা হয়েছিল - তাও আছে। এটার ক্ষেত্রেও, ডাইরেকশন অসাধারণ। বাঙালি পাঞ্জাবি ঝামেলারও হাস্যকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আয়ুষ্মান"



__________

[*] ১১ বছর পরে পুরো স্মৃতি মুছে গেছে

Written Reviews back from 2012 : Talaash

 "সাসপেন্স থ্রিলারের কথা যখন উঠলোই, তালাশ কেন বাদ যায়?! আজকাল একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, সিনেমা বেরোনোর আগে একটা স্পয়লার চলে আসে। জব তক হ্যায় জানের এসেছিলো, তালাশেরও। জতহ্যাজা দেখিনি, তালাশ গেছিলাম। ভাবলাম যাই হোক, এই ভদ্রমহিলা বেশ কেতওয়ালা ডিরেক্টর, গল্প জানা হলেও, কেমন বানায় দেখে আসি। স্পয়লার যেটা এসেছিলো, মনে হয় শাটার আইল্যান্ড থেকে 'অনুপ্ৰাণিত'। গেলাম, দেখলাম, বোকা হলাম। পাবলিক সাসপেন্স থ্রিলার তো পছন্দ করেই, মায় গোয়েন্দা গল্পও। কিন্তু এখানে তো টুইস্টের বাবা। ডনে ছিল টুইস্ট, রেসে ছিল টুইস্টের মা বোন এক করে দেওয়া। কিন্তু এমটিভি যতই বলুক বকরা রমরমিয়ে চলেছিল, মানুষ নিজে বোকা, অজ্ঞানী হতে পছন্দ করে না। অসাধারণ কিছু সামনে থাকলেও না। আসলে কি, সাধারণ মানুষ, পাবলিক যাকে বলে, তো যুগযুগান্তর ধরেই গণ্ডমূর্খ। তাও এখন দুটো পরিবর্তন হয়েছে - ১, সস্তায় ইন্টারনেট পেয়ে ধৈর্য কমেছে, ২, হাতে পয়সা এসে ঘ্যাম বেড়েছে। তো এখন কেউ তাকে তার বুদ্ধি আর বিচার ডোমেনের পরিধি কত এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে আমাদের ঝাঁট জ্বলে যায়। সেইজন্যে দর্শকমহলে খুব রাগারাগি চলছে। 'এরকম একটা সিনেমায় আমির খান রাজি হলো কেন' থেকে 'দেখেছিস, এই জন্যে এটার মার্কেটিং করেনি, লোকটা জানে কখন কোথায় কী বেচতে হয়' পর্যন্ত। যতই হোক, 'একটু অন্যরকম' সিনেমা করে, সুকান্তর মতো গালে হাত দিয়ে বসে থাকে, ডাইরেক্ট তো ঝাড়া যায় না। এদিকে ডিরেক্টরকেও ঝাড়া যাচ্ছে না, কারণ তার কাজটা অসাম হয়েছে (অবশ্য আরেকটা কারণ আছে, আদ্ধেক লোক তার নামই জানে না :))। লোকে কিন্তু বলেনি গজনীর সময়ে, 'স্যার, এটায় অ্যাক্টো করলেন কেন'। যাই হোক, আঁতলামিতে ফেরা যাক। ডিরেক্টরকে যে একটু আগে তোল্লাই দেয়া হলো, এবার একটু বকা হবে। ডিরেকশন আর স্ক্রিপ্টের দিকে দেখতে দেখতে অ্যাক্টরদের গ্রুমটা কম করা হয়েছে। আমির খান জাস্ট অ্যাভারেজ প্লাস। এটা অবশ্য আরেকটা পিওভিতে দেখলে মনে হয়, ওই সেম, স্ক্রিপ্টের স্বার্থে চেপে অ্যাক্টিং। কিন্তু আস্তে আস্তে বোঝা যাবে, ওই রং দে..র পর থেকে মালটা চেপে খেলতেই ভুলে গেছে। তারে জমিন পরে ছড়িয়েছিলো, এখানে অতটাও নোংরা করেনি, এই যা। এর থেকে গজনীর অ্যাক্টিং ভালো ছিল। রাণী মুখার্জির মেকআপহীনতা অসাধারণ। অ্যাক্টিংও ভালো, কিন্তু একমাত্রিক রোল তো, যা হয় আর কী। নওয়াজ, আবার, প্রায় অসাধারণ। প্রায় বললাম কারণ পঙ্গুত্বের দরকার ছিল না। আবার ওর সাপোর্টে গেলে বলতে হয়, ওই পঙ্গুত্বটাকেই এতো কষ্ট করে পারফেক্ট করেছে, দেখে কষ্ট হয়। বাকিদের সবারই অ্যাক্টিং বেশ, কিন্তু রোলগুলো তেমন নয় বলে দিলীপকুমার বা শাহিদ কাপুর হয়ে গেছে [*]। লাস্টে বলতে হবেই করিনা কাপুরের কথা, একমাত্র যার সবকিছুর প্রাচুর্য, সফিস্টিকেশন, দর্শন একদম জাস্টিফায়েড হয়ে যায় ছবির শেষে। এটা স্পয়লার না, বলা কারণ যাতে কেউ সিনেমার মাঝখানে শুধুমুদু রাগ না করে বসে। সিনেমার কিছু ইনস্ট্যান্স অসাধারণ, সেগুলো বলে দিলে তো বলা হয়ে গেল। গান ও ইমপ্লিমেন্টেশন খুব সুন্দর। আলাদাভাবে গানগুলো বেশ বিক্রয়যোগ্যও। ডায়লগ ভালো হতে হতেও হয়নি, কারণ সবাই জন্মেই কাদের খান বা অনুরাগ কাশ্যপ হয় না। এটা আশা আছে ডায়লগে আরো পালিশ পড়বে। লাস্টে দুটো ধন্যবাদ প্রাপ্য। প্রথম, রীমাকে। এই ধরনের ট্রেন্ড বলিউডে ঢোকানোর জন্য। মানে এই যে একটা জেনরের সংজ্ঞা উপেক্ষা করা আর জেনরটাকেই টুইস্টেড করে দেওয়া। দ্বিতীয়, আমিরকে। কোনো মেসেজ না চোদানোর জন্য।"



__________

[*] মানে দুর্দান্ত অভিনয় করেও বাজে লেখা বা চরিত্রে ইক্সেন্ত্রিকতার অভাবে মনে তেমন দাগ কাটে নি

Written Reviews back from 2012 : Kahaani

 "ভুলে যাওয়ার আগে কাহানির কথাও বলতে হয়। ওই বাইশে শ্রাবণ থেকে মনে আসলো। ঠিক ওই জেনরের গল্প। এতদিন যেটা চাওয়া হচ্ছিলো, সেই অসাধারণ গানপ্রয়োগ হয়েছে। এখানেও নওয়াজুদ্দিনকে দেখার মতো। এবং শোনার মতো। চরিত্রটির নাম অসাধারণ। পরমব্রত আস্তে আস্তে বেস গিটার হয়ে উঠছিল বাইশে.., এবং এই ছবিতে চেষ্টা করেছে বেসটাই যাতে লিড হয়ে ওঠে। যে চাপা অভিনয়ের জন্য পরমব্রত এত বিখ্যাত, সেটা সুন্দরভাবে ক্যারি করে যাচ্ছে। আর বিদ্যা বালনের এই রোলটা প্রায় গ্লাডিয়েটরে রাসেল ক্রোর মতো কষ্ট করে বানানো। মাঝে মাঝে দুয়েকটা লুজ দিলেও গল্পের স্বার্থে চেপে খেলা অনায়াসে হয় না। তারপরে আবার এত নতুন করে ভাবা একটা রোল। অনেকে সিনেমাটাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির একটা সিনেমার সাথে তুলনা করেন (নাম মনে নেই) কিন্তু আমি ওটা দেখিনি। আমার বরং লেগেছে ইউজুয়াল সাসপেক্টের মতো। এবং অনেকটাই রাইটিয়াস কিল। তবে ভালো নকল। আমার একটা বন্ধু বলে 'ইন্টেলিজেন্ট কপি'। পাঁড় আঁতেলরা বলে 'ইন্সপায়ার্ড'। যেমন শোলে কিংবা কাঁটে। সে যাই হোক, গল্পে আসা যাক। বেশ ভালো সাসপেন্স থ্রিলার। আধুনিকতাকে বেশ সুন্দর করে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। এবং অ্যাক্টরদেরও। এবং ক্যামেরা। ক্যামেরার কথা একটু আলাদা করে বলতেই হবে কারণ এরা জলে ভেজা, রোদে পোড়া কলকাতাকে ঠিক ওইরকমভাবেই তুলে এনেছে। তবে যতটা নন-স্টিরিওটাইপ বলা হচ্ছিলো ততটা নয়। তবু আমার সারাজীবন মনে থাকবে। আমি তখন দক্ষিণের একটি শহরে পচছি। খাবারদাবার অলমোস্ট অসহ্য হয়ে উঠেছে (মালের চাটে যেগুলো আসে, সেগুলো ছাড়া অবশ্য :)), তখনই কাহানি এনে দিলো রাস্তার ধুলোয় দ্বিগুণ মোটা হয়ে যাওয়া চাউ, একসপ্তা পুরোনো তেলে ভাজা কচুরি। আহা, মন পুরো খারাপ হয়ে গেছিলো। আর কে না জানে, মন খারাপ হলো ভালো লাগারই একটা আইসোটোপ। যাই হোক, বাকি ব্যাপারগুলোতে আসি। এডিটিং আর কিছু না, শুধু ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের পুজোর এডিটিং দেখলে পুজোর ভিড়ের কথা মনে পরে যায়। কলকাতার ছেলেমেয়েরা বলছিলো - 'একদম হোমলি ফিল'। আমি অবশ্য চব্বিশ পরগনা থেকে, ট্রায়াঙ্গুলারও যা, ম্যাডক্স স্কোয়ারও তাই। ম্যাডক্স স্কোয়ারে অবশ্য সেইবার..... [*] কিছু করার নেই, কাহানি দেখে যা হয় তা হলো নস্টালজিয়ার বাবা। তারপর আবার তিনচারজন বাদে পুরো কাস্টিং টালিগঞ্জ থেকে তোলা। দুএক জায়গায় আবার ফ্যামিলিসুদ্ধ। আর সেইজন্যেই এই হোমলি ফিল। তবে হ্যাঁ, সিনেমাটাকে সর্বভারতীয় লেভেলে তোলার জন্য নওয়াজুদ্দিন ছাড়া যে চরিত্রটি এতো খাটাখাটনি করেছে, সেটা হলো শাশ্বতর। বাইরের বন্ধুরা সবাই শাশ্বতর নাম জিজ্ঞেস করছিল পর্যন্ত। শাশ্বতর অভিনয়ের তো তুলনা হয়ই না, তবে আরেকটা কথা বলবো, এরকম ক্যারেক্টার ভাগ্য করে পাওয়া যায়। এরকম স্ট্রং ভিলেন ক্যারেক্টার অনেকদিন আসেনি। সত্যি বলতে বলিউডে যারা স্ক্রিপ্ট লেখে, তাদের কাছেও হয়তো ভিলেনের স্টিরিওটাইপ চেঞ্জ করতে এই রোলটা সাহায্য করবে। তবে বলিউড ব্যাপারটাই যেভাবে স্টিরিওটাইপ হয়ে যাচ্ছে, বাঁচলে হয়। তারপরে শান্তিলাল। বেশ কুল। উচ্চারণ বাদে বেশ মেমোরি খাওয়া রোল। যদিও ননবেঙ্গলি দর্শক সিনেমার আধঘন্টা পরেই সিনেমাতে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা বং অ্যাকসেন্ট মাফ করতে শুরু করবে। ধৃতিমান এবং দর্শিল, দুজনেই নিজের নিজের রোলে বেশ। বাকি থাকে ডায়লগ। সিনেমাতে ডায়লগ অনেকটাই বাংলা নির্ভর বা বাংলা নির্ভরতাকে খিল্লি করে বানানো হয়েছে। সেগুলোতে ফান, উইট, হিউমার, স্যাটায়ার - চারটেই যথেষ্ট। বাকি যেটুকু - সেটুকুর সিংহভাগ বলেছে নওয়াজ। নওয়াজের মোড অফ ডেলিভারি নিয়ে সন্দেহ নিয়ে থাকেনা এরপর। আর থানার বড়বাবুর রোলে খরাজ - ওকে ছাড়া আর কাউকে মানাতো না। তবে খরাজেরও এই একই টাইপের রোল থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। আর একটা কথা বলা দরকার। পরিচালক এই যে নতুন বাঙালীয়ানাকে ইউজ করলেন, এটা দুইভাবে সিনেমাটার ক্ষতি করেছে। এক, সাসপেন্স থ্রিলারে নতুন, প্রান্তিক জিনিস নিয়ে মজা করতে করতে অনেকটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। দুই, এই করতে গিয়ে নন-বেঙ্গলি মার্কেটটা ঠিক জয় করে ওঠা যায়নি। ব্যাস, এই ছাড়া প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা সাসপেন্স থ্রিলার।"



__________

[*] এটাই এই বইটার ইউএসপি যে প্রচন্ড নস্টালজিন ক্ষরণ হয়

Written Reviews back from 2012 : Gangs of Wasseypur [দুটো পার্ট]

 "এরপরে আরেকটা মুভি। এটা ঠিক বরফির আগেই দেখা। মানে সেকেন্ড পার্টটা। ফার্স্ট পার্টটা বাড়ি গিয়ে দেখেছিলাম। তো এতে হাত দেওয়ার মানে একটু তেল সাথে নিতে হবে। ব্রাউজিংএর জায়গা একদম ভরা। প্রথম কথা হল - নতুন কিছু না। গডফাদারের বলি-অনুবাদ বহুবার হয়েছে। দয়াবান, নায়গন, বিরাসত, রাজনীতি। স্টাইল যদি বলা হয় - পুরোনো কোরিয়ান রিভেঞ্জ ফর্মাট। বলিউডে রক্তচরিত্র, হলিউডে কিল বিল - সেম জিনিস। তাহলে ব্যাপারটা কী?! কেন এত হইচই?! দুটো কারণ। এক, অনুরাগ কাশ্যপের এই ফার্স্ট মুভি যেটা তার নিজের জায়গা থেকেই - অলমোস্ট - বানানো। উনি সাউথ ইউপি - আর সিনেমার লোকেশন ঝাড়খন্ড। এর সাথে আছে অনুরাগের প্রসেসসধর্মী স্টোরিটেলিং - যেটা খুব লম্বা করে দেখায়। হ্যাঁ, ব্ল্যাক ফ্রাইডের পরে এই প্রথম। সেই ব্যাটল অফ অ্যালজিয়ার্সের স্টাইল। সাথে নর্থ ইন্ডিয়ার খাঁটি চুতিয়াপন্থী আবহ। আর দুই, যেটা কিনা না বললেই নয়। এর আগে অনুরাগের দা গার্ল ইন দি ইয়েলো বুটস বলে একটা সিনেমা বেরিয়েছিল, তার ট্রেলার কজন দেখেছে হাতে গুণে বলা যায়। তারপরে গুলাল। এটা ছিল পুরোনো, অনেক পুরোনো ডায়লগ-রাইটার/স্ক্রিপ্ট-রাইটার অনুরাগের সিনেমা। বাজারে হিট হওয়ার যথেষ্ট ম্যাট ছিল। শুধু মার্কেটিং হয়নি বলে ঝুলেছিল। মার্কেটিংওয়ালা সিনেমা একবারই হয়েছিল এর আগে - দেব ডি। যেটার বাণিজ্যপন্থা অনুকরণ করে কামিনের মতো যাতা সিনেমাও - বিশাল ভরদ্বাজের হয়েও - বিশাল ওপেনিং পেয়েছিল। অবশ্য তার কিছুটা দায় বর্তায় কাস্টিংএর উপর। তো সেই মার্কেটিংএর বাবার বিয়ে দিয়েছে গাউ (GoW) সিরিজের প্রমোশনে। পুরোনো প্রোমোটিং ভিডিওগুলো এখনও দেখায়, অনুরাগ বোকার মতো ভাট বকছে। অবশ্য টিজার ট্রেলার গুলোও অসাম ছিল। সাথে ছিল গান। এই একটা পয়েন্ট মাঝে মাঝেই বলতে হবে - মিউজিক। অনুরাগের অন্যতম দুর্বলতা হলো ভালো কাস্টিং, সেই করতে গিয়ে এমন একজনকে মিউজিক ডিরেক্টরের চেয়ারে বসিয়েছেন, যে চন্দ্রিলের ভাষায় বলতে হয়, কোটি কুর্নিশ। বিহার ইউপি এমপি থেকে যা পেরেছে - তাই এনে স্নেহা খানওয়ালকার, সাউন্ড ট্রিপিংএ ইন্ডিয়ার যে অঞ্চলটা বাদ গেছিলো - সেই পূর্ব-মধ্য ভারতের সংগীত দিয়ে অসংখ্য পারমুটেশন-কম্বিনেশন করেছে। সবগুলো গানই, সেই বিচারে, অসাম। গুণগতভাবে কিছু গান যা-তা। অনুরাগের কাছ থেকে অনেককিছু শেখার আছে, যার মধ্যে একটা হলো কাস্টিং (হ্যাঁ, আবার বলছি) - কিন্তু সঠিকভাবে। এর আগে নো স্মোকিংএ জনকে যেমন রোল দেওয়া হয়েছিল, দুঃসাহস দেখে হা করে থাকতে হয়। আয়েশা টাকিয়াকে নেওয়াও চাপের, কিন্তু ওই মহিলা আমার প্রিয়তম নায়িকা (বলি), তাই একটু বায়াসড, তাই কিছু বলি না। আর দেখলাম গাউ তে। মনোজ তিওয়ারিরও যে সদ্ব্যবহার করা যায়, তাও এখান থেকেই শেখা। আর হ্যাঁ, অবশ্যই পীযূষ মিশ্র। যদিও ওনার অসাধারণ গান আগে গুলালে শুনেছি। তবুও বলবো, পঞ্চাশ বছর ব্যাপী এই সিনেমায় বড্ডো দরকার ছিল। তবে হ্যাঁ, স্টিরিওটাইপ। আরো ভালো কিছু শোনার আশায় রইলাম। গানের কথা বললেই আরেকজনের কথা চলে আসে - যশপাল শর্মা। একেই বোধহয় বড় অভিনেতা বলে। কী একটা রোল। দুটো সিনেমায় বলতে গেলে তিনটে কি চারটে সিন - তাও কথা না, গান - এই নিয়েই একটা রোল যেটা কিনা ভোলার না। রোলটা এমন একজন লোকের (এমনিতে আর্টিস্ট/সিঙ্গার, কিন্তু এই ধরণের লোক দেখলে লোক-ই বলি লাইফে) যিনি সব অকেশনেই গান গান। মাঝে মাঝে আবার ডুয়েট গলায়। শ্রাদ্ধবাসর, বিয়ে সবকিছুর জন্যেই আলাদা আলাদা হিন্দি গান আছে তার ঝুলিতে। অসাধারণ সূক্ষতার জন্য, ডিটেলিংএর জন্য ধন্যবাদ যদি অনুরাগের প্রাপ্য হয়, তবে অন্তত রোলটিতে হ্যাঁ বলার জন্য যশপালের অনেক অনেক মেহেরবানিয়াঁ। দুটো সিনেমার কথা টানাই বলি। প্রথমে যখন মনোজ বাজপেয়ী তার বাবা জয়দীপ আহলাওয়াতের মৃত্যুর বদলা নেবে বলে অস্থির, তখন মনোজকে মাইকেল আর জায়দীপকে ভিটো কর্লিওনিই লাগে। আস্তে আস্তে বোঝা যায়, গল্প এখনও বাকি। তিগমাংশু ধুলিয়ার অল্প বয়সের রোলটা কে করেছে নাম জানি না, কিন্তু একটা রোলে ঢুকে নিজেকে যে এতটা গ্রুম করা যায়, তা জানতাম না। আর তিগমাংশুর কথা পত্রপত্রিকায় অনেক লিখেছে, সবগুলো ঠিক। এবারেও বলবো অসাধারণ কাস্টিং, কিন্তু তাতে তিগমাংশুর অভিনয় একটুও ম্লান হয়ে যায় না। ওই পাতা চুল, নোংরা মুখ নিয়ে তিগমাংশু হিট। সুপার হিট। আলট্রা হিট। ডিজেল হিট। মনে পড়ে গেলো, পেট্রল পাম্পে দুটো সিন আছে। মনোজের ড্রিম কেরিয়ার শুরু পেট্রল পাম্পে। জীবন শেষও। সেখানে না হলেও, সেই পেট্রল পাম্পেই। সিনেমা রিলিজের আগে পীযূষ মিশ্র একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, 'পরিচালক কি ডাকবাক্স নাকি যে শুধু সন্দেশ (message) দেবেন?! শুধু একটা ভালো চলচ্চিত্র হিসেবে দেখতে আসুন'। মেসেজ-ধাবকদের গালে একটা বেশ থাপ্পড়। তবুও আমরা যারা বড় বোদ্ধা তারা তো একটু আঁতলামো করবই। এই যে একটা মানুষের শুরু শেষ কে একই ব্যাকগ্রউন্ডে বানানো - এবং তার উত্তরাধিকারীর উত্থানও একটা চায়ের আড্ডায় আর চা আনার প্রসঙ্গেই মৃত্যু - এগুলো তো একটু ভাবার সময়ের দাবী রাখে। ট্রেলারে 'বিহার কে লালা' গানটা তো রক করেছিল, মনোজের লাস্ট সিনে সেটা যেন আরো মাত্রা দেয়। মানে অন্ততঃ হলে খুব মস্তি হয়েছিল। আরেকটি রোল করেছেন রিচা চাড্ডা। ওনার অসাম মা-কাকিমা টাইপ হাবভাব (উদাঃ হাতে ঝোল চেটে নুন বোঝা) একটুও ক্ষীণ লাগে না। শুধু বৃদ্ধার রোলে মানায়নি বেশি। হুমা কুরেশিকে ব্যাপক লাগে, গার্লফ্রেন্ড এরকমই হতে হয়। জুহি চাওলার পরে খুব একটা বেশি নায়িকাকে এতো ভালো গার্লফ্রেন্ড মানায়নি। অভিনয় তো ভালোই, অসাধারণ হলো ভয়েস ডেলিভারি। হাসিটা কলেজের সেরা সুন্দরীর মতো। তার উপর বইয়ের চয়েস। আশির দশকে হয়তো মেয়েদের প্রিয় বই মাত্রই একটা পাল্প ফিক্শন ছিল। অভিনয়ে পীযূষ মিশ্র আগের মতোই ভালো। বুড়ো হয়ে যেন নির্বাক অভিনয় আরো মন কেড়ে নেয়। আরো দুজনের কথা বলতে হয়, কিন্তু নাম মনে নেই, গুগল করে দেখতে হবে [*]। আপাতত আসি সিনেমার আরেকটি জায়গায় - আবহ। সম্প্রতি _?!_ তে [†] একটা প্রবন্ধ দিয়েছিল - তাতে বলা হয়েছিল বলিউডের নতুন ট্রেন্ড হলো রাস্টি ডিওপি। পান সিং তোমার, ইশাকজাদে, গাউ। কয়েকদিন আগে গেলো দাবাং। ট্রেন্ড কতদিন থাকবে জানি না, কারণ বলিউডে অপ্রতিরোধ্য ট্রায়ো সংগীত-স্টারকাস্ট-সেট এর স্টিরিওটাইপ ভাঙা শিবের বাবার অসাধ্য। ও হ্যাঁ, কদিন পরে আসছে চক্রব্যূহ, প্রকাশ ঝা প্লিজ আর ঝোলাবেন না। কিন্তু ট্রেন্ডটা দুদিনের হলেও বেশ ভালো। ভালো, কারণ নতুন। অনেকে রাউডি রাঠোড়কেও রাস্টি বলছে, কিন্তু আমি খুব একটা শিওর না। তবে একটু চেঞ্জ হওয়া ভালো। তাতে খারাপ ভালো দুটো মালই সমানে ঢোকে ঠিকই, কিন্তু মিউটেশনের চান্স থাকে। এখানে ডিওপি, কে জানি না, অসাধারণ একটা কাজ করেছেন। গ্ল্যামারের বিন্দুমাত্র কোনো সিনে ঢুকতে দেননি। বেশ পুরোনো ডিওপিদের মতো - যাদের ক্যামেরাম্যান বলা হতো :)। এডিটিং নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই, কারণ লং শট আছে অনেক। যে জিনিসটা নিয়ে সত্যি বলার, সেটা হলো অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি। প্রথমে মনে হবে এত বাস্তব সব কি রিহার্সাল ছাড়া হয়েছে?! অনেকগুলো সিকুয়েন্সের মধ্যে বলতে হবে মনোজের প্রথম স্ট্যাবিং, জয়দীপের ক্যালানো, জীশান রাজকুমারের স্কুটার-বাইক চেজ, পঙ্কজের কাঁঠাল কেনা, নওয়াজের মৃত্যুভয়ে পলায়ন। লাস্টেরটা সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কারণ নওয়াজের রোলটি এতটাই বচ্চন-প্রভাবিত যে ওই একটা কনফেসিং কান্না ছাড়া সবই স্টাইলে করেছে। কান্নাটাও দিওয়ার-ইন্সপায়ার্ড হতে পারে, কে জানে। সিনেমার প্রভাব নিয়ে অনেক কথা বলার। সবচেয়ে ভালো দেখায় জীশান যখন পুরোনো সাজন টাইমের সালমান খানের চুলের স্টাইল নকল করছে, তখন সিনেমা/স্টাইলের প্রসঙ্গ আনা হয়। কিন্তু তেরে নামের স্টাইলটা যখন যখন ইমপ্লিমেন্ট করা হয়, তখন কিন্তু ট্রান্সফর্মাশনটা খুব সাইলেন্ট। সবাই এই ধরণের প্রসঙ্গে সত্যজিতের পোস্টমাস্টারের কথা বলে, যেখানে অনিল চ্যাটার্জীর স্ট্যাম্প মারার স্পিড বেড়ে যায়। তার আগে বাংলা সিনেমায় দেখাতো ক্যালেন্ডার উড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই তেরে নামের রাবীন্দ্রিক ছাঁট অ্যাডাপ্টেশন আরো অসাধারণ, আরো সফিস্টিকেটেড, আরো সাটল। প্রায় প্রতিটা সিন নিয়ে কিছু লিখতে হয়, কিন্তু সেটা এই শর্মার দায়িত্বও না, আর করতে দিলে হেগে উল্টে দেবে। এখানে পরিচালকের কি ব্যাখ্যা জানি না, কিন্তু আরেক পরিচালক তিগমাংশুকে দিয়ে যখন বলানো হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি অপরিসীম ঘৃণার বাক্য, তখন কি কিছুই সন্দেশ (message) নেই?! যতই পীযুষ ডায়াবেটিক সিনেমার কথা বলুন, এখানে একটু কেমন যেন হয়ে গেছে। তবে তার সাথে যখন একই তিগমাংশু দর্শকদের মনে করিয়ে দেন যে কীভাবে তিনি তিন প্রজন্মকে মেরেছেন শত্রুশূন্য জীবনের জন্য, তখন আবার মনে হচ্ছিল, আরে, এই লোকটাই তো আসল হিরো। তো, এইসব ছোটোখাটো ইন্সটান্সে ভরা ছবি। সিনেমা কেমন, এবার সেটা বলার। ন্যারেশনটা না থাকলে জমে যেত। ব্যাপার কী, সিনেমায় কোনো টুইস্ট নেই, নতুন কনসেপ্ট নেই। তাও বসে দেখা যাচ্ছে অনায়াসে। জানা তথ্য যে এবার ক এর হাতে খ খুন হবে, এবার গ ঘ কে বাঁচাবে, এবার ঙ চ এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে, ছ এবার জ কে লুটবার প্ল্যান করবে, ঝ ঞ এর বৌকে মারবে। প্রেডিক্টিবিলিটির বাবা। তবুও। স্ক্রিপ্ট-রাইটার/ডায়লগ-রাইটার অনুরাগের রিলোডিং হলো যেন। শেষে একটা কথাই বলার, যাদের নরম মন, তারা যাবেন না। এটা এখন বহু সিনেমাতেই বলে, কিন্তু এটা একদম ঠিক এই সিনেমার ক্ষেত্রে। বাইশে শ্রাবনের মতো খিস্তাচ্ছে তো ডাল-ভাতের মতো, জায়গায় জায়গায় দর্শককে বাধ্য করে গালাগালি দিতে। আমিই কতবার শুওরের বাচ্চা বলেছি ঠিক নেই। আর দুবার খানকির ছেলে। এই দুবার অবশ্য সবার জন্যই। এটা মিস হবে না, লিখে দিচ্ছি।"


__________

[*] পঙ্কজ ত্রিপাঠি আর রাজকুমার রাও। তখনও এদের নাম জানতাম না

[†] ১১ বছর পরে পুরো স্মৃতি মুছে গেছে

Written Reviews back from 2012 [Ad verbatim from a notepad I have found from old bags. Nothing has been changed other than the footnotes] : Barfi

 "উল্টোদিক থেকেই [*] স্টার্ট করা যাক। বরফি। আমি জীবনে ভাবিনি সিনেমা রিভিউ লেখা এইটা থেকে শুরু করবো। অনুরাগ বসু আমার ফেভারিট ডিরেক্টর না। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া - অন্তত এখনও - ভালো লাগে না। রণবীর কাপুর তো পছন্দই নয়। তাও আমার ল্যাদ খাবার অভ্যেস কাটাতে এটা লেখা। যাইহোক, শুরু করা যাক। অনুরাগের লাস্ট সিনেমা দেখেছিলাম - মেট্রো। ব্যাপক। তারপরে এই। প্রথমে বেশ দারুণ লাগে। অসামান্য ডিরেকশন। কিন্তু সাথে সাথেই মনে হয় সিনেমাটার মধ্যে এতগুলো ফর্ম ইউজ করেছেন - তার মধ্যে কটা আবার আমাদের কাছে একেবারে নতুন - যে টেস্টি হতে বাধ্য। তারপরে বলবো, লিড ক্যারেক্টারগুলো, সবাই ভালো। তবে কী, একদম সাইলেন্ট সিনেমা না। এর থেকে ব্ল্যাক/খামোশি অনেক বেশি সাইলেন্ট ছিল। অতএব ওই জেনরে ভাবাই যাবে না। মুন্সিয়ানা এখানেই, ওই দুটো ক্লাসিকের সাথে তুলনা করার ইচ্ছে একেবারেই মনে আসে না। শুধু নায়কের বাবা যখন মরে যায়, তখন খামোশির কথা মনে পড়ে। আর এটা না বললেই নয়, ডিটেলিং অসাধারণ। প্যাকার্স এন্ড মুভার্স থেকে শুরু করে একজন বধিরের (এবং সেটা একটা অভ্যাসে পরিণত হওয়া) - সব আছে। ট্রেলার দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল গরীবের ছেলে, যতই পাহাড়ি জায়গায় থাকুক, এত হিরোমার্কা বডি কেন?!  তারও লজিক দেওয়া হয়েছে। রণবীর কাপুর এমন একজন এক্টর যাকে গ্রূম করিয়ে ব্যাপক শেপ দেয়া যায় - পরিচালক প্রায় সফল বলা চলে। আবার তুলনা চলে আসে মনে, তবে আজব প্রেম../রাজনীতির মতো না। প্রিয়াঙ্কার বলা যেতে পারে সেই অ্যায়তরাজের পর থেকে, সেরা অভিনয়। সাত খুন মাফে যা ছড়িয়েছিলো, এখানে প্রায় বলা যায় ইন্টারেস্ট সমেত শোধ দিয়েছে। সৌরভ শুক্লা বাঙালি পুলিশ হিসেবে ব্যাপক। এটা অবশ্য কাস্টিং এর মজা। রূপা গাঙ্গুলি যেমন হন, অ্যাক্টিং বেশ ভালো। ওনার মুখে 'কুছ খা লে' কথাটা ওই মুহূর্তে অসাধারণ লেগেছিলো। হারাধনবাবু বড্ডো এক্সট্রিম, তাও ভালো। যীশু পেয়েছে একটা বালের রোল, কত আর ফুটিয়ে তুলবে। আর ইলিনা তো ব্যাপকই (দেখতে), সত্তরের নায়িকা হিসেবে বেশ মাধবীলতা কে মনে করিয়ে দেয়। তবে টিপটা আরেকটু নিচে পরালে ভালো হতো। সত্তর বলতে মনে পরে গেলো, একটু ভাবতে চাপ হয়, হঠাৎ ওই টাইমটা বাছা হলো কেন?! টাইমের তো কোনো এক্সট্রা সুবিধা তোলা হলো না। ইভেন একটা নকশাল আন্দোলন/জরুরি অবস্থা এর ইনস্ট্যান্স ও তুলে ধরা হয়নি। আমাকে একজন বলেছিলো যেহেতু সিনেমাটার অন্যতম উপাদান মানুষের ভালোত্ব, তাই বেশ কিছু দশক আগে যেতে হয়েছে। আমার বেশ মনে ধরেছে কথাটা। আরেকজন বলেছিলো ব্যবসার কথা। কাস্টিং এর আরেকটা দিক বলা যায়, লোকেশন ওয়াইজ কলকাতা মার্কেট, নায়িকা ওয়াইজ সাউথের মার্কেট আর রণবীর কাপুর তো রিসেন্ট হার্টথ্রব। ভালো ব্যাখ্যা। এবার কিছু দুর্বলতা - যেটা ফিল্ম সমালোচনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ - বলা যাক। অনুরাগ বসুর মতো ডিরেক্টর কলকাতাকে রিপ্রেজেন্ট করতে গিয়ে সেই স্টিরিওটাইপের বাবা হাওড়া ব্রিজ ইউজ করলেন কেন?! সেকেন্ড, দুটো গানের মধ্যে ('কিউ' আর 'ফির লে আয়া দিল') গ্যাপ খুব কম [†]। থার্ড, যীশুর ক্যারেক্টারতা এত দুর্বল কোনো - ছোট বলে বলছি না - কোনো জামাই তার শাশুড়ির সামনে বৌকে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যেতে বলতে পারে?! ফোর্থ, রণবীর যখন বুড়ো সাজলো, তার মধ্যে টাটা ডোকোমোর বুড়োকে ছাড়া আর কিছু পেলাম না। নতুন অবতার না হোক, একটু ইম্প্রোভাইজ করলে ভালো হতো। পাঁচ, ওই জোনাকির সিনটা বড্ডো সঞ্জয় লীলা বনশালি টাইপ হয়ে গেছে। আর অনেক ধন্যবাদের মধ্যে দুটো না বললেই নয়। এক, সমসাময়িকতাকে ব্যবহার করার লোভ সম্বরণ করতে গাঁড় ফেটে যায়। সেইটা অনুরাগ করেছেন। আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অসামান্য অভিনয়ের কথা তো বলাই হয়েছে। অভিনয়কে ভালোবেসে স্টারডমকে এইভাবে উত্তরণ করায় যায়, জাস্ট ভাবা যায় না। অটিজমের কথা মনে করলে মাই নেম ইজ খানের কথা মনে পড়ে, কিন্তু সে তুলনা অর্বাচীন। কারণ, দুটি চরিত্রের ফর্ম ও অ্যাম্বিয়েন্স ডেলিভারিগতভাবে আলাদা। সামারি এটাই, টুকরো টুকরো রশোমন, ক্লাইম্যাক্সে গন বেবি গন ফ্লেভার, আর স্টোরিলাইনে পাল্প ফিকশনের কাজিন হলেও রণবীর কাপুরের ভাষায় বলতে গেলে, একটা সাইন যেটা মানে <ওয়াহ>। আর মিউজিক তো বলাই হলো না। ভাবা যাচ্ছিলো না প্রীতমের মিউজিক। শেষে যখন গসিপ শোনা গেলো কে নাকি কি একটা লাইন না সুর চুরি করার জন্য 'আলা বরফি' গানটার বিরুদ্ধে কেস করবে, তখন নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো।"



__________

[*] একটা নোটপ্যাডের উল্টোদিক থেকে লিখছিলাম। সামনের দিকে অ্যান্ড্রয়েড এপিআইএর কিছু নোট ছিল 

[†] এটা এখন আলাদাভাবে বলার মতো কিছু না। বাজে এডিটিংএর যুগে এ জিনিস নিউ নর্মাল