Wednesday, September 27, 2023

Written Reviews back from 2012 : Talaash

 "সাসপেন্স থ্রিলারের কথা যখন উঠলোই, তালাশ কেন বাদ যায়?! আজকাল একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, সিনেমা বেরোনোর আগে একটা স্পয়লার চলে আসে। জব তক হ্যায় জানের এসেছিলো, তালাশেরও। জতহ্যাজা দেখিনি, তালাশ গেছিলাম। ভাবলাম যাই হোক, এই ভদ্রমহিলা বেশ কেতওয়ালা ডিরেক্টর, গল্প জানা হলেও, কেমন বানায় দেখে আসি। স্পয়লার যেটা এসেছিলো, মনে হয় শাটার আইল্যান্ড থেকে 'অনুপ্ৰাণিত'। গেলাম, দেখলাম, বোকা হলাম। পাবলিক সাসপেন্স থ্রিলার তো পছন্দ করেই, মায় গোয়েন্দা গল্পও। কিন্তু এখানে তো টুইস্টের বাবা। ডনে ছিল টুইস্ট, রেসে ছিল টুইস্টের মা বোন এক করে দেওয়া। কিন্তু এমটিভি যতই বলুক বকরা রমরমিয়ে চলেছিল, মানুষ নিজে বোকা, অজ্ঞানী হতে পছন্দ করে না। অসাধারণ কিছু সামনে থাকলেও না। আসলে কি, সাধারণ মানুষ, পাবলিক যাকে বলে, তো যুগযুগান্তর ধরেই গণ্ডমূর্খ। তাও এখন দুটো পরিবর্তন হয়েছে - ১, সস্তায় ইন্টারনেট পেয়ে ধৈর্য কমেছে, ২, হাতে পয়সা এসে ঘ্যাম বেড়েছে। তো এখন কেউ তাকে তার বুদ্ধি আর বিচার ডোমেনের পরিধি কত এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে আমাদের ঝাঁট জ্বলে যায়। সেইজন্যে দর্শকমহলে খুব রাগারাগি চলছে। 'এরকম একটা সিনেমায় আমির খান রাজি হলো কেন' থেকে 'দেখেছিস, এই জন্যে এটার মার্কেটিং করেনি, লোকটা জানে কখন কোথায় কী বেচতে হয়' পর্যন্ত। যতই হোক, 'একটু অন্যরকম' সিনেমা করে, সুকান্তর মতো গালে হাত দিয়ে বসে থাকে, ডাইরেক্ট তো ঝাড়া যায় না। এদিকে ডিরেক্টরকেও ঝাড়া যাচ্ছে না, কারণ তার কাজটা অসাম হয়েছে (অবশ্য আরেকটা কারণ আছে, আদ্ধেক লোক তার নামই জানে না :))। লোকে কিন্তু বলেনি গজনীর সময়ে, 'স্যার, এটায় অ্যাক্টো করলেন কেন'। যাই হোক, আঁতলামিতে ফেরা যাক। ডিরেক্টরকে যে একটু আগে তোল্লাই দেয়া হলো, এবার একটু বকা হবে। ডিরেকশন আর স্ক্রিপ্টের দিকে দেখতে দেখতে অ্যাক্টরদের গ্রুমটা কম করা হয়েছে। আমির খান জাস্ট অ্যাভারেজ প্লাস। এটা অবশ্য আরেকটা পিওভিতে দেখলে মনে হয়, ওই সেম, স্ক্রিপ্টের স্বার্থে চেপে অ্যাক্টিং। কিন্তু আস্তে আস্তে বোঝা যাবে, ওই রং দে..র পর থেকে মালটা চেপে খেলতেই ভুলে গেছে। তারে জমিন পরে ছড়িয়েছিলো, এখানে অতটাও নোংরা করেনি, এই যা। এর থেকে গজনীর অ্যাক্টিং ভালো ছিল। রাণী মুখার্জির মেকআপহীনতা অসাধারণ। অ্যাক্টিংও ভালো, কিন্তু একমাত্রিক রোল তো, যা হয় আর কী। নওয়াজ, আবার, প্রায় অসাধারণ। প্রায় বললাম কারণ পঙ্গুত্বের দরকার ছিল না। আবার ওর সাপোর্টে গেলে বলতে হয়, ওই পঙ্গুত্বটাকেই এতো কষ্ট করে পারফেক্ট করেছে, দেখে কষ্ট হয়। বাকিদের সবারই অ্যাক্টিং বেশ, কিন্তু রোলগুলো তেমন নয় বলে দিলীপকুমার বা শাহিদ কাপুর হয়ে গেছে [*]। লাস্টে বলতে হবেই করিনা কাপুরের কথা, একমাত্র যার সবকিছুর প্রাচুর্য, সফিস্টিকেশন, দর্শন একদম জাস্টিফায়েড হয়ে যায় ছবির শেষে। এটা স্পয়লার না, বলা কারণ যাতে কেউ সিনেমার মাঝখানে শুধুমুদু রাগ না করে বসে। সিনেমার কিছু ইনস্ট্যান্স অসাধারণ, সেগুলো বলে দিলে তো বলা হয়ে গেল। গান ও ইমপ্লিমেন্টেশন খুব সুন্দর। আলাদাভাবে গানগুলো বেশ বিক্রয়যোগ্যও। ডায়লগ ভালো হতে হতেও হয়নি, কারণ সবাই জন্মেই কাদের খান বা অনুরাগ কাশ্যপ হয় না। এটা আশা আছে ডায়লগে আরো পালিশ পড়বে। লাস্টে দুটো ধন্যবাদ প্রাপ্য। প্রথম, রীমাকে। এই ধরনের ট্রেন্ড বলিউডে ঢোকানোর জন্য। মানে এই যে একটা জেনরের সংজ্ঞা উপেক্ষা করা আর জেনরটাকেই টুইস্টেড করে দেওয়া। দ্বিতীয়, আমিরকে। কোনো মেসেজ না চোদানোর জন্য।"



__________

[*] মানে দুর্দান্ত অভিনয় করেও বাজে লেখা বা চরিত্রে ইক্সেন্ত্রিকতার অভাবে মনে তেমন দাগ কাটে নি

0 comments:

Post a Comment