Friday, December 30, 2016

Shameful Series Of Pretentious Intellects - Year 1 Vol 1 : Recurring Female Movie Characters Alphabets


Monday, November 7, 2016

দ্য বিগ শর্ট - ডকু আর ফিচারের বিভাজন রেখা

এবারে বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে প্লেনে একটা সিনেমা দেখতে দিয়েছিলো - "দ্য বিগ শর্ট"। ২০০৭ সালে আমেরিকা জুড়ে আর্থিক মন্দার কারণ-টারণ, কয়েকজন অতি-জিনিয়াসের সেই ব্যাপারে পুর্বাভাস দেওয়া, আর - অবভিয়াসলি - কেউ তাদের পাত্তা দেয় নি, সেই নিয়ে গল্প। বইটা নিয়ে বলার কারণ হল এতে একটা ব্যাপার এত বেশী করে আছে যেটা প্রায় আর রিসেন্টকালে দেখি নি আমি। সেটা হল প্রচুর টেকনিকাল ব্যাপার এবং শব্দের ব্যবহার যেটার সাথে সাধারণ দর্শকের কোনোও পরিচয় নেই। টেকনিকাল বলতে অর্থনীতি রিলেটেড। প্রশ্ন আসতে পারে যে, একজন বাঙাল না হয় "মর্টগেজ","ট্রিপল-এ" এইসব টার্ম বুঝতে পারবে না, কিন্তু ফিল্মটা তো মার্কিন নাগরিকদের জন্যে বানানো। কিন্তু উল্টো তর্ক করলে বলতে হয় "বিশ্বাস করুন, একজন গড় আমেরিকানও ওই দুটো শব্দই জানে আর এতে আরো দুশোটা ওরকম ব্যাপার চোদানো হয়েছে"। এমনকী, কয়েকটা ব্যাপার এতো কঠিন যে একটা নায়িকা, এক রাঁধুনী, একজন গায়িকা এবং আরেক আর্থ-সমাজতাত্ত্বিককে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে (ক্যামিও) সহজভাবে বুঝিয়ে ফেওয়ার জন্যে। রকেট সিং করার সময়েও পরিচালক অ্যাতো চাপে ছিলেন না আরো বড় কথা, একটি চরিত্র তো প্রায়ই চার নাম্বার দেওয়াল ভেঙে টেঙে আমাদের বোঝাচ্ছিলেন যে এই সীনটা যদি না বুঝে থাকেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। তা কথাটা হল, কতটা পরিভাষা বলা যাবে ফিল্মে। এখানে একটা আননোন ভাষায় সিনেমার কথা হচ্ছে না, কারণ তাতে সাবটাইটেল থাকে। এখানে বলা হচ্ছে মানুষের "শাশ্বত অনুভূতি" কতটা কম রাখা যাবে সেই নিয়ে। এবার তাতেও ঝামেলা আছে। কারণ একজন বাঙালীকন্যার পক্ষে যা "ফ্যাদড়া প্যাঁচাল" সেটা একজন অ্যামাজনকন্যার কাছে "দৈনিক রুটিন" হতে পারে। উল্টোটাও যেমন সত্যি, কথাটা ছেলেদের ক্ষেত্রেও খাটে। অতএব, সেই নিয়ে তর্কটা আপাততঃ তুলে রেখে দেখা যাক একজন সাধারণ লোকের শাশ্বত অনুভূতির দৌড় কতটা। মানে মেজরিটি জনসমাজের সাধারণ লোক। মানে আনন্দবাজার আর গুগল যাকে মেজরিটি বলছে।

আমরা নতুন জিনিস দেখলে খুব খুশী হই। নতুন মানে কিন্তু একধাপ নতুন। অন্য গ্রহ-টহ আমাদের কাছে জলভাত হয়ে গেছে, কিন্তু "গ্রাভিটি"ই বুঝতে পারলাম না। এখন তো আমাদের দেশেও টাইম ট্রাভেল নিয়ে গল্প দেখানো হচ্ছে, "ইন্টারস্টেলার" দেখে বুঝি না বুঝি, নোলানের জন্যে নতুন ধুপকাঠি কিনে আনলাম, এদিকে "প্রাইমার"এর নামই জানি না। কয়েকজন তো "সোশাল নেটয়ার্ক" (যেটা আসলে কিনা কোর্টরুম ড্রামা) দেখে নাকি অ্যালগোরিদম শিখছিলো শুনেছিলাম, এদিকে ম্যাট্রিক্সের পরের পার্টগুলো কেন খারাপ সেটা জিগ্যেস করলে বলে "সেই তো একই অ্যাকশন"। স্নব, আঁতেল যা ভাবার ভাবুন - মোদ্দা কথা হল বাংলায় বা হিন্দিতে ভালো টেকনিকাল বই নেই। টেকনিকাল বলতে আমি নন-"শাশ্বত অনুভূতি"-বেসড থীমের কথা বলছি। তাও একবার "শিপ অফ থিসিয়াস" হয়েছিলো, সেটা নাকি আমির খান থেকে কমল রশিদ খান সবাই হা করে দেখেছিল। তারপরে আর আনন্দ গান্ধী বা প্লুটার্কের কোনো খবর পান?! কেউ "বার বার দেখো" ভালো বলছে না শুনে মনে হচ্ছে মালটা হেব্বি দাঁড় করিয়েছে, কিন্তু পাবলিককে ভরসা নেই। এমনকী পুলিশ স্টেশন বেশীক্ষণ দেখালেও লোকে হিরো আর হিরোইন অকর্মণ্যতার কথা বলে। এটা শুধু ভারতবর্ষে নয়, মেঘালয় থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত বর্ষে বর্ষে, দলে দলে রিপিট হয়ে আসছে। তো সেই হিসেবে, "দ্য বিগ শর্ট" একটা ডকুমেন্টারি হওয়ার কথা। কারণ আমরা হেট স্পিচ আর প্রোপাগান্ডা কিল্ম ছাড়া কোনো তথ্যচিত্রের নাম জানিনা। কিন্তু এটাকে ডকুমেন্টারি বলা যাবে না, কেননা লোকে পার্ট করছে। তাহলে কি এটা সেই "সাবধান ইন্ডিয়া" বা "ক্রাইম প্যাট্রোল"এর মত ডকুড্রামা?! এখানে বলে রাখা ভালো, এগুলোকে অভিহিত করা হয় "মকুমেন্টারি" বলে। মানে মক ডকুমেন্টারি আর কি। মানে খুব আনস্ক্রিপ্টেড একটা ব্যাপার মনে হবে, যেখানে ক্যামেরাকাজ মাঝে মাঝে খুব জার্কি ও গেরিলা টাইপের হবে। রিয়েল লোকেশন আর মানুষজন থাকলে ভালো হয়। আবার আমি অপারগ, দেশী বইয়ের নাম মনে পড়ছে না। ল্যারি চার্লসের "বোরাট" বা "ব্রুনো" হালফিলের খুব পরিচিত নাম। ব্যাপার হচ্ছে, এই আমাদের মত "শাশ্বত অনুভূতি"-ওয়ালা লোকজন সবকিছুকে একটা নিয়মের মধ্যে ফেলতে ভালোবাসি। যাকে রবীন্দ্রনাথ তাসের দেশে খুব করে বকেছিলেন, আর জোকার "দ্য ডার্ক নাইট"এও বেশ কাঁচকলা দেখানোর চেষ্টা করেছিলো। আমরা কি করি, কিছু না মিললে বলি ওটাই নতুন ফর্মুলা। আজকাল বন্ধুত্বের সিনেমাগুলোকে বলা হয় "ব্রোমান্টিক মুভিজ"। ওই "স্টার ওয়ার্স" আর "স্টার ট্রেক"এর সাফল্যের পরে প্রচুর একই থীমের ছবি বানানো হত। যেগুলোতে অন্য গ্রহে লোকজনের গুলিগালা দেখানো হত, সেগুলোকে বলা হত "স্পেস ওয়েস্টার্ন"। বালের ক্যাটেগরাইজেশন সব। তেমনিই, মকুমেন্টারি বলে আলাদা আদিখ্যেতা করার কিছু নেই। কিন্তু এগুলোকে ডকুড্রামা বলারও বিপদ আছে। কারোন খুব একটা মৌলিক পার্থক্য হল (সো-কলড) মকুমেন্টারি আসলে আসল স্থান-কাল-পাত্রের মধ্যে দেখানো নকল ঘটনা, আর (সো-কলড) ডকুড্রামা হল নকল লোকদের নিয়ে বানানো আসল স্থান-কাল-পাত্র। আবার বলছি, আসল নকল বলছি আমাদের জ্ঞান ও অনুভূতির বিচারে। এই লেখায় কোনো "শাশ্বত" কথা ইউজ করার সাহস পাইনি। অন্যদিকে, কেনই বা বলা যাবে না এই নিয়েও তর্ক চলতে পারে। কারণ, "ডেথ অফ এ প্রেসিডেন্ট" নাকি একটা ডকুড্রামা।

আর দুটো ঘটনার নাম বললে পরের রিভিউগুলোয় যাবার একটা পোর্টাল তৈরি হয়। এক, ঋতুপর্ণ ঘোষের "জীবনস্মৃতি - সিলেক্টিভ মেমোরিজ"। ভাবা যায়, বাঙ্গালীর প্রিয় ঋতুপর্ণ-কে "চিত্রাঙ্গদা"র থেকেও বেশী খিস্তি শুনতে হয়েছিলো এই রবি-ডকু টি করে। এখানে ভদ্রলোক অসম্ভব একটি কাজ করেছিলেন যেটা ইউরোপীয় আর্টফিল্মে হয় বলে শুনেছি। ল্যারি চার্লসও প্রচ্ছন্নভাবে করেছিলেন "রিলিগুলাস" বলে বিতর্কিত একটি ছবিতে। সেটার মার্কেটিং ফিচারের মত হলেও আদতে একটা ডকুমেন্টারি ছিলো। তা কী সেই ব্যাপারটা, না, আবার সেই ব্রেকিং ফোর্থ ওয়ালের তত্ত্ব। যেটা ওই ব্লগটায় লিখতে ভুলে গেছি, সেটা হল, দেওয়াল ভাঙ্গার অধিকার শুধু অভিনেতাদেরই নেই। প্রথমতঃ, তখন মোটামুটিভাবে ক্লাসিক ফিল্ম স্টাইল নিয়ে বলা হচ্ছিল, যেখানে পরিচালক হুট করে সীনে ঢুকে পড়েন না। ফিচারে তো নয়ই*, ডকুমেন্টারিতেও বাহুল্যে। ঋতুপর্ণ করলেন কী, উনি রবিঠাকুরকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেন ও ভালোবাসেন (বা সার্কাজম ধরলে উল্টোটা) সেটাও স্ক্রিনে দেখালেন রবিজীবনের পাশে পাশে। আরো মারাত্মক - ওই শহুরে মানুষটাকে বোলপুরে শুটিং করতে গিয়ে কি গরম আর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়েছে। তথ্যচিত্রের একটা লক্ষণ যদি সততা হয় তাহলে তো এই ব্যাপারটা প্রায় পর্নোগ্রাফির মত সৎ। কিন্তু বাঙালী ইমিগ্রেশন অফিসারের মত। কিউ আর ঋ এর নাম বুঝতে না পেরে বাঙালী "তাসের দেশ"কে হতচ্ছেদ্দা করে ক্ষমা করে দিয়েছিলো, এবারে আর ছাড়ান নেই। যদিও ডকুমেন্টারিতে ডিরেক্টরকে দেখানো কিছু মারাত্মক অপরাধ নয়, তবুও ছোটোবেলা থেকে শুনে এসেছি ডকুমেন্টারি হবে খবরের মত নিরপেক্ষ। সেখানে নির্দেশকের মতাদর্শ হইবে পোকারফেসের ন্যায়, আর বাকি ক্রু বোকার বেশে থাকিবে। তা খবর যখন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে জন্মলগ্ন থেকে - কিংবা হয়তো তার দরকারও ছিলো (গণশক্তির ক্লিশে হওয়া ট্যাগলাইন দ্রষ্টব্য) - তখন ডকুমেন্টারিই বা বাদ যায় কেন। তবুও গনজো জার্নালিজমের মত গনজো ডকুমেন্টারিকেও মানিনি আমরা। এবারে দুই নাম্বার বই - সত্যজিৎ রায়ের "র‍্যাবিন্দ্রানাথ টেগোর"। তারো স্টাইল সেম, ডকুড্রামার পাশে ডকুমেন্টারি। কিন্তু জনগণের আর ফিল্ম-ক্রিটিকদের মনেই নেই যে সেখানেও যখন মানিকবাবু ন্যারেট করছিলেন, সেখানেও তার গলা থেকে জায়গায় জায়গায় দরকারমতো শ্রদ্ধা/বর্ণনা/সমালোচনা ঝরে পড়ছিলো। আমরা সবাই মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী।

আবার সেই কথা ঘ্যানঘ্যান করার, যে লোকটা সিনেমা বানাচ্ছে, তার ইচ্ছেমত সে টেকনিকাল জারগন্স বলতে পারে। সে অভিনেতা-পরিচালক তো বটেই, পারলে ক্যামেরাম্যান আর ক্যামেরাকেও সিনেমাতে নিয়ে আসুক। ডকুমেন্টারি কে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বানাক। কিন্তু একটি ক্যাচ আছে। ঠাকুর বলেছেন, যত মত তত পথ। তা সিনেমার ফর্ম বা কনটেন্টের বেলায় এই তত্ত্ব খাটলেও উদ্দেশ্য কিন্তু দুরকম। দেশ বা পাড়ার সম্মান টম্মানের বার না খাইয়ে দিলে, মোটামুটি সকল আর্টের লক্ষ্যই বিনোদন। দুরকম বললাম, কারণ বিনোদন ভদকা নয় বলেই এর কোনো অ্যাবসোলিউট যাপন নেই। হেন্স, (১) নিজের এবং (২) অন্যের বিনোদন। এবার যদি আমি নিজের জন্যে ছবি বানাই, তাহলে কিন্তু পয়সা নেই পয়সা নেই করে প্রোদিউসারের কাছে রেন্ডি-রোনা করা যাবে না। কারণ বিপদ বুঝেই গাড্ডায় নামা হয়েছিলো। আর যদি একটা স্পেসিফিক জনতার জন্যে বানাই, তাহলে নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা আলমারিতে ন্যাপ্তহলিন দিয়ে কদিন বন্ধ করে রাখাই ভালো। কারণ, ওই বাংলা সিরিয়ালে যেমন বলে, "হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না"। কিছু কিছু গাণ্ডুদের তো শুনেছি "নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন" ও তিন-চার বার করে দেখে। অবশ্য যে ওল্ড ম্যানের কথা (না রে বাবা রবীন্দ্রনাথ না) বারবার করে বলছি, তার একটা রিসেন্ট কাজ বলে শেষ করি। ভদ্রলোক এতদিন চরম কিছু ছবি বানআনোর পরে এবারে নিকোলাস কেজকে নিয়ে ভেবেছেন, অ্যান্ড ইয়েস, হী ইজ প্রাক্টিক্যালি ওয়ার্কিং ফর দ্য গড (অফ ইন্টারনেট)। কী ভেবেছেন দেখা যাক



~এবারে বই কেমন হল সেটা~
দেখুন, সিনেমাটা বানিয়েছেন স্টিভ ম্যাকি বলে একজন যিনি নাকি আগে "অ্যাঙ্করম্যান" আর "ট্যালাডেগা নাইটস"এর পরিচালক ছিলেন। সেখান থেকে এই সিনেমায় আসা একটা উত্তরণ। স্করসেসের থেকেও ভালো কারণ "রেজিং বুল", "ক্যাসিনো", "গুডফেলাস" বা "উলফ" আসলে একই সিনেমা। এই উত্তরণকে প্রায় আনন্দ গান্ধীর সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট থেকে "শিপ অফ থিসিয়াস" বা শিরীষ কুন্দরের "জোকার" থেকে "কীর্তি"তে আসার মত। আমি এন্টারটেনড। কয়েক মাস ধরে ভাবছিলামই যে এটা দেখবো দেখবো, ইন্টারনেটে সাবটাইটেল পাচ্ছিলাম না। তা দেখলাম, ওইসব হাবিজাবি টার্মস বুঝতে না পারলেও সিনেমা তরতর করে এগোচ্ছে। এডিটিং চমৎকার। অতগুলো স্টার কাস্ট করেও ধ্যাড়ায়নি। মার্গট রবির প্রেমে পড়ে যাই ওর যেকোনো সীন দেখলে, এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গল্পের প্রিলিউড, রেজলিউশন টেক্সটবুক এবং দারুণভাবে এক্সিকিউটেড। শেষে কী হবে জানা থাকলেও ক্লাইম্যাক্সগুলোতে টেনশন কম হয়নি। সাইড রোলেরা মুখ্য চরিত্রদের থেকেও ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, সিনেমাটার যে একটা অন্তর্লীন প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা ছিল, সেটা প্রায় সার্থক। এমনিতেই বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে ঝাঁট জ্বলে ছিলো, এই বইটা দেখে আমেরিকায় ফিরতে ভয় ভয় করছিলো। নেহাত বাজে কিছু বলতে হয় বলে বলছি, স্টিভ ক্যারেলের রোলটাকে একটু বেশীই মানব্দরদী বলে দেখিয়েছে, সে যতই তার ভাইয়ের মৃত্যুতে কাতর থাকুক না কেন।

__________________________________________________
*এসব অবশ্য আদিমকালের কথা। এখন আমাদের দেশে ফিল্মে যা শুরু হয়েছে, পরিচালক অন্য পরিচালকের বইতে অভিনয় করছে, তিনি আবার তার প্রতিদান দিচ্ছেন, ক্যামেরাম্যান সিনেমা বানাচ্ছে, মিউজিক ডিরেক্টর স্টিল তুলে দিচ্ছে, এডিটর ব্যাকগ্রাউন্ড মারাচ্ছেন, পরিচালক প্রি-রিলিজ ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, অ্যাক্ট্রেস প্লেব্যাক গাইছে, সিঙ্গার ওয়ারড্রোব সামলাচ্ছেন - পুরোই মাল্টিডাইমেনশনাল সুব্রত মুখো কেস। লাস্টেরটা অবশ্য বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে স্বাভাবিকটাই লিখে ফেললাম, না?!

Monday, October 31, 2016

জুলফিকার - আর কতবার শেক্সপীয়ার মারলে তবে মাএস্ট্রো বলা যাবে

আজকে এইমাত্র বসে "জুলফিকার" দেখলাম। ওরে বাবা, ভাবা যায়, শ্রীজিৎ নাকি শেক্সপীয়ার বানাচ্ছেন। তাও আবার একটা না, দু-দুটো। হলিউডের স্বর্ণযুগে যাকে বলা হত "ডাবল ফিচার"; মোস্ট রিসেন্ট সময়ের উদাঃ হল "গ্রিন্ডহাউস" (যেটা থেকে আমরা ডাবল ফিচার সম্পর্কে জানলাম আরকি)। এক্সপেক্টেশনের বাড়াবাড়ি তো অবশ্যই, কারণ ওই, এই পুরোনো, আঁতলামো। এমনিতে সংস্কৃতি চোদালে আমাদের চোখ গোল্লা গোল্লা হয়ে যায়। তারপরে আবার আজকাল এই পপ কালচারের একটা গড্ডালিকাপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যত পুরোনো এবং বাজে বই, সেগুলো নাকি কাল্ট। সেই একই ব্যাকরণে, শেক্সপীয়ার করলে তো মাৎ মাৎ। এদিকে কিন্তু প্রশ্ন করা যাবে না যে কজন শেক্সপীয়ার জানে। ট্রিভিয়া দেখিয়ে ফাটিয়ে দেবে সবাই। আবহাওয়া ঠান্ডা হলে একবার যদি জিগ্যেস করা যায় "দাদা, ম্যাকবেথ আসলে ছিলো টা কে?!" সবাই দেখবেন মদের গ্লাস হাতে উসাইন বোল্টের কথা বলছে। উসাইন বোল্টের ব্যাপারে ডিটেলসে জিগ্যেস করতে গেলে শুরু হবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দারিদ্রের গল্প*। হ্যাঁ, এতটাই অধঃপতন হয়েছে আমাদের। কিংবা, জনপ্রিয় তত্ত্ব মানলে বলা চলে যে পাবলিক চিরকালই এতটাই উপর উপর জানে। চোখের সামনে এখন দেখতে পাচ্ছি বলে এটা খারাপ লাগছে। সাধে কি আর ইতিহাস রাজাগজাদের নিয়ে লেখা হয়েছে?! আমিই তো শো অফ করার আগে বাঙলায় অনূদিত "জুলিয়াস সিজার" আর "অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা" পড়ে নিলাম টুক করে।

মনে আছে (= উইকিপিডিয়া বলছে) যে আশির দশকের শেষের দিকে ওই ডিজনির একটা নবজাগরণ হয়েছিল "দ্য লিটল মার্মেড", "বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট" এই বইগুলো করে। মানে পড়ে যাওয়া "বিন্নেস"কে মাথায় তোলা হয়েছিল এই ন্যাকাচোদামো গুলো দিয়ে। অসম্ভব সব নারীচরিত্র দিয়ে ভরা এই সিনেমাগুলো আমাদের মাথা খেয়েছিলো একসময়। তবে সে কথা না, পয়েন্টে আসি। তো এখন আবার বাংলা বলুন, হিন্দি বলুন, এই একটা সেম জিনিস শুরু হয়েছে শেক্সপীয়ার নিয়ে। ডিকেডে ডিকেডে এই ভদ্রলোকের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটা নতুন থিওরির আমদানি হয়, এটা অবশ্য সেই শেক্সপীয়ারের সময় থেকেই চলছে। তা এই কদিন আগে নাকি পাঁচশো বছর না কি একটা গেছে। ব্যাস আর যায় কোথা। সেই যে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবার্ষিকী বলে একটা বিশ্রী কাণ্ড হয়েছিল, এটা তারই বিলেতুতো ভাই। তবে অত বড় রেঞ্জে তো করা যায়না, কারণ বাইরে বিশাল বড় বড় সব হনু বসে আছেন। বাইরে যাই হয় তাই সবচেয়ে সেরা সেটা বলছি না, কিন্তু বাইরের পাবলিক আর্টিস্টকে সুযোগ দেয় অনেক বেশী। তাই এক্সপেরিমেন্টের রেঞ্জও, তুলনামূলকভাবে, অনেক ব্যাপ্ত। মেঘনাদ ভট্টাচার্য যখন "দায়বদ্ধ" রিলিজ করেছিলেন, তখন সেই "এই দুটো তিলের জন্যে জীবন দিয়ে দেওয়া যায়" সিনটা নিয়ে খুব হইহই হয়েছিল। পরে নির্দেশক/রা কিছু একটা বাজে যুক্তি দিয়ে পালাটাকে কন্টিনিউ করেন। ওই যেমন হেলথকেয়ারমূলক ছবি বলে "নো স্মোকিং"কে হলে পাঠানো হয়েছিল। সে যাই হোক, "দায়বদ্ধ"র প্রথম রজনীর দুয়েক বছরের মধ্যেই "ইকুয়াস"এর নতুন ভার্শানে অভিনয় করল ড্যানিয়েল র‍্যাডক্লিফ, একদম সেই ল্যাংটা হয়ে বালের চুলটুল দেখিয়ে। মনে রাখতে হবে, তখন হ্যারি পটারের তিন না চার নাম্বার চলছে। আমাদের দেশে শিশুশিল্পী তো দূরের কথা, শিশুশিল্পীর ছোটোমামার (অ্যাডাল্ট) গায়েও যাতে যৌনতার কোনও ট্যাটু না লাগানো হয়, তার জন্যে আলাদা মরাল পুলিশ আছে। তো সেই কারণে, শেক্সপীয়ার, বা সোফোক্লিস, বা কালিদাস, বা আর্থার মিলারকে নতুনভাবে দেখার সাহস হয় না আমাদের দেশের শিল্পীর। হ্যাঁ, শিল্পীই। একজন খারাপ শিল্পীও কিন্তু শিল্পী। সাহস হয় না, পয়সা নেই, পাবলিক আসে না, ধক নেই, চিন্তাশক্তি উইকিপিডিয়ায় আবদ্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এখনকার লোকের (মাইরি, আমার মা মাসিরাও হোয়াটসঅ্যাপ করা শুরু করেছে) কাছে আর কিছু থাকুক না থাকুক, একটা স্মার্টফোন আছে। আর তাতে খুব কম করে বললেও, মাঝে মাঝে ইন্টারনেটের রিচার্জ করানো হয়।

অতএব, ফিল্মমেকাররাও সত্যিকারের আন্তর্জাতিক হওয়ার লোভ সামলাবেন কি করে?! সেই কপিকলে যেমন পড়ছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি, তেমনি অঞ্জন দত্ত। শ্রীজিৎ আর অপর্ণার তো এরকম টুকটাক হাত মারার স্বাভাব আছেই। দেখুন, ইউরোপ টিউরোপের কথা জানি না, বা কোরিয়া-জাপান, কিন্তু হলিউড আর বলিউডে (এবং তার ছানাপোনারা) সিনেমাকে আর্ট থেকে বহুদিন হল ব্যাবসার জায়াগায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে কালাপানি থেকে অদূর ভবিষ্যতে কোনো মুক্তি নেই। সেখানে সবাই অন্য লোকের কথা ভেবেই সিনেমা বানায়। অতএব, যতটা পারো হাল্কা কর। আরে বাবা, একজন লেখকের যখন সমগ্র ছাপানো হয়, তিনি বেঁচে থাকলে সেইসব গল্পগুলোকেও একবার দেখে নেন আরেকবার এডিট করা আয় কিনা। আর এতো সেই পাঁচশো বছর আগেকার। বিশাল ভরদ্বাজের কথা বলতে ভুলে গেলাম তো। ওই একটা "মকবুল" করে ফাটিয়েছিলেন। তারপর তো সেই সব গয়ংগচ্ছ। তাও সেই নাক টাক কেটে হ্যামলেট করতে হল কাশ্মীরে। আর এদিকে, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসএমএস ভূত। আমাদের ছোটোবেলায় রথ, বারুনী বা ঝুলনের মেলায় এইরকম চটি বই কিনতে পাওয়া যেত। হারবার্ট থাকলে বলত, "আরে বাবা, ভূতের ইন্টারপ্রিটেশান কি অত সোজা - যাঃ যাঃ"। রোমিও জুলিয়েট নিয়ে কিন্তু আমাদের দেশে সিনেমা কম হয়নি। অনেকে আসল গল্প না জেনে, অনেকে কপিরাইটের ভয়ে টাইটেল কার্ডে আর শেক্সপীয়ারের নামটাম দেননি। সেইসব ছোটোলোকপনা অবশ্য বিদ্যাসাগর মশাইও করেছেন। কিন্তু যেটা সবচেয়ে খারাপ লাগে, লোকে একটা জিনিস করে বলছে, "এই অ্যাক নূতন"। সে তো তাও বোঝা যাচ্ছে, কোম্পানির মাল বিক্রির তাগিদ আছে। কিন্তু কনজিউমারদের আপনি বোঝাতে যান, এইসব সত্তরের দশকে লোকে করে ফাটিয়ে দিয়েছে, তারপরে যেই সে খাটের তলায় লেপ ঢুকিয়ে রেখেছে, তা আর কারুর মনে নেই, হয়তো সেইসব লেপকাঁথা ওয়ার্ড সেলে ফ্রিতে কেউ নিয়ে নতুন জিনিস বলে আমাদের দেখাচ্ছে, লোকে আপনাকে বলবে স্নব। কে জানে, বলা যায় না, হয়তো ফেসবুক থেকেই বের করে দিলো বা আপনার হ্যাশট্যাগগুলো আর টুইটই করলো না। তার থেকে বাবা থাক, ট্রিভিয়া আইএমডিবিতে, লোকশিক্ষা থিয়েটারে আর জ্ঞানবুদ্ধি আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে সুন্দর, আর শেক্সপীয়ার ঘরে ঘরে।

আরো শুনুন, কয়েক বছর আগে ওই রজত কাপুর এণ্ড কোং মিলে একটা মিডসামার নাইটস ড্রীম এর বোম্বাই এডিশান বার করেছিল, তাতে ওই বাগানের দৃশ্যটাও ছিলো, পারলে দেখুন আর ভাবুন আর্ট ফিল্মের নামে আর কত গাঁজা খাবেন..




~এবারে বই কেমন হল সেটা~

খুব একটা প্রত্যাশা ছিলো বলব না, কিন্তু চমৎকার ট্রেলার বানিয়েছিল শ্রী ভেঙ্কটেশ টীম। বেশ একটা অ্যাভেঞ্জার অ্যাভেঞ্জার গন্ধ আসছিলো। পুজোয় টাইম পাইনি দেখার, এই আজকে একটা ব্লগে আপলোড করেছে, তাতে প্রিন্ট হেব্বি হাইফাই না, কিন্তু কথা পরিষ্কার, আর সাবটাইটেলও ছিলো। এবার তার জন্যে কোনো সীন-টিন বাদ গিয়ে থাকে, তাই সম্ভাব্য ভুল ব্যাখ্যার জন্যে আগে ক্ষমাটমা চেয়ে নিচ্ছি। সীনের নামে মনে পড়ল, দারুণ কয়েকটা কথার পান আছে, অ্যাট লিস্ট মদ খেয়ে তো শুনতে হেব্বি লাগে। গল্পটা যখন রাহুলের ভয়েসোভারে শুরু করল, মাঝখানে আরো কয়েক জায়গায় হলে মন্দ লাগতো না। কিন্তু এটা মেজর ত্রুটি নয়। যেখানে ওই যীশু কৌশিককে পুরো কনভিন্স করে নিলো, সেটা অত নাটকের সেকে নাটকের মত না বানালেও পারতো, অত দূরে থেকে আজকাল কেউ কথা বলে নাকি?! তারপরে ভরত কলের খুনের সীনটাও আরো কনভিন্সিং দেখাতে পারতো। শ্রীজিত কবে বুঝবে যে ওনার ভাড়া করা ক্যামেরাম্যান (থুড়ি, ডিওপি) এইসব সিন নিতে পারেননা। মনে পড়ে যায় "মিশর রহস্য"তে সেই ছড়ানোর কথা। সে অবশ্য প্রথম সীনেও সেই মনমোহন দেশাই মার্কা অ্যাকশন দেখিয়েছে, কিন্তু ক্যারেক্টার ইন্ট্রোডাকশনের জন্যে ওটা দরকার ছিলো। কারণ, অনিমেষ সেই কবে বলে দিয়েছে, শ্রীজিৎ স্ক্রিপ্ট লিখতে পারেন না। তারপরে প্রসেনজিৎকে খুনের সীনটা যেন বলা নেই কওয়া নেই, হুট বলতেই হয়ে গেল। এখানে অবশ্য ডিরেক্টর বলবেন যে, ওই কাসকার (সরি, অভিনেতার নাম মনে নেই) চরিত্রটাকে ওইরকমই বলা হয়েছিল আবহাওয়াটা ট্রিগার করার জন্যে, কারণ কৌশিকের সেন্টুকে ভরসা নেই। কিন্তু তার মানে তো এমনভাবে সুবিধাজনকভাবে ক্যারেক্টার বানানো যাতে কথা কম বলানো যায়। দেবের সব কিছু মাফ করা যায়, ওই জঘন্য ট্যাটুটা ছাড়া। সবচেয়ে কম রোল পেলেন জুন মালিয়া, অবশ্য এটাই প্রথম বার না। এটা প্রায় ট্রিভিয়া লেখার মত যে "বাইশে শ্রাবণ"এর মত এখানেও সবচেয়ে কম টাইমের চরিত্রটিকে মেরে ফেলা হল। জুন মাঃ কী ছিলেন, আর কী হইয়াছেন। তবে দারুণ সীনের অভাব নেই। বেস্ট লেখা চরিত্র বোধ হয় নুসরতেরটা, তবে লাস্টে যা হল, সেটা বাড়াবাড়ি। স্পয়লার অ্যালার্ট হয়ে যাবে এটা, কিন্তু সাপের আধুনিক ভার্শান কোনোভাবেই বৈদ্যুতিন তার হতে পারে না। ভেবেছিলাম কৌশিক আর যীশু ফাটাবে, একজন ধেড়িয়েছেন, একজনের ঠাণ্ডা লেগেছিলো। খালি খালি ভয়েস পালটে লাভ হল কিছু?! পরম সেই দিক দিয়ে, সব বারের মতই, মেরে বেরিয়ে গেছে। অঙ্কুশের ট্রান্সফর্মেশন তো বইতে ছিলো না, সেটা দেখিয়েছে ভালো। দুটো বই থেকে নিয়েছে বলেই, আদ্ধেক আদ্ধেক করেনি, এটাও বেশ হয়েছে। আরেকটা কথা, কবি পুরো রায়তা ছড়িয়েছেন স্ক্রিনে। রাহুল, সুজন দুজনেই অসাধারণ। এটা থেকে যেটা মনে পড়ে গেল, ওই প্রসেনজিৎ খুনের পরে একজন পুলিশ অফিসার যে ভয় নিয়ে পালাচ্ছে, সেটা চমৎকার, প্রায় নিজেরই ভয় ভয় লাগে। তবে বইয়ের সেরা পার্টটা হল নামকরণ, এটার আর হাঁড়ি ভাঙলাম না এখানে।

__________________________________________________

*এবারে শাপমোচন, হ্যাঁ। মানিক সরকারের গল্প এখনকার দিনে প্রায় সেই রাদুগা প্রকাশনের রূপকথার মতই।

Monday, August 8, 2016

সুইসাইড স্কোয়াড - ডিসি হলেই আমাদের অবিরাম লালাক্ষরণ

সেই সময়টা এসেই গেল যখন বহু-প্রতীক্ষিত সুইসাইড স্কোয়াড বেরোবে। প্রচুর অপেক্ষার অবসান। ফ্যানেরা পাগল, সাথে আমরাও। আমরা মানে যারা নব্য-কমিক্স-এন্থুসিয়াস্টিক*। কমিক্স বলতে জানি বাঁটুল, হাঁদা ভোদা, হী-ম্যান, চাচা চৌধুরী। অবশ্য মাঝে মাঝে অ্যাস্টেরিক্স, টিনটিন আর ফ্যান্টম চুদিয়ে আন্তর্জাতিকতা মারাতে যাই। তাও ভাগ্যিস নীরেন্দ্রনাথ সবগুলো টিনটিন অনুবাদ করেছিলেন, নাহলে আমাদের টিনটিন-ট্রিভিয়া সেই "ঢালের খোঁজে"তেই শেষ হয়ে যেত। যাগগে, যা বলছিলাম - বিদেশী কমিক্স। ডিসি, মার্ভেল ইত্যাদি (আর একটাও নাম জানি না কিন্তু)। এমনিতে নতুন বই-এর কোনো ক্যারেকটার সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই ওই জোকার আর হার্লিকুইন কে ছাড়া। তাও হার্লিকুইনের পরিচিতি ওই জোকারের ছায়াসঙ্গিনী হিসেবে। কিন্তু মাতামাতি না করলে হবে কেন?! লাফানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। সেই লাফে কী নেই, টি-শার্ট কেনা, পারলে কমিক-কনে গিয়ে সেলফি তোলা, দুয়েকটা উইকিপেজ বানিয়ে বা এডিট করে সেই কথা লোকজনদের সামনে একশোবার করে বলা। আবার কেউ যদি মাঝে অবজ্ঞাসূচক ভাবে বলে ফেলে "কমিক্স, মানে কার্টুন?!", তখন আমাদের গোঁসা দেখে কে।

অন্য দিকটা সবাই জানেন, প্রিটেনশান। এটা অবশ্য এক সময় বাঙালীদের কপিরাইট ছিলো, এখন পাঞ্জাবী, মাদ্রাজী, চীনে, কালিম্পঙ্গি, কাফ্রী, এস্কিমো সবার এই বাই হয়েছে। মহামতি গোখলে আর ভারতেই আটকে নেই, ওনার উক্তি বিশ্ববন্দিত হওয়ার মুখে। যেটা বাঁড়া বুঝতে পারলাম না, তার মত আর জিনিস হয় না ভেবে নিতে হবে। অতএব ডিসি জিন্দাবাদ। মার্ভেলপ্রেমীদের তাও এই নাকউঁচু ব্যাপারটা নেই। সবাই মিলে আসলো, ঝারপিট হল, টোনি স্টার্ক কেত দেখালেও মনটা খুব ভালো - হয়ে গেল বাড়ী চলে আসলাম। ডিসি ফ্যানবয়দের ব্যাপার কিন্তু আলাদা। সিনেমা দেখতে যাই যেন পোলিশ চলচ্চিত্র উৎসব চলছে। মারপিট দেখালে একটু খেলো বলে মনে করলাম। বাড়ী ফিরেও শেষ নেই, রাজ্যের ট্রিভিয়া পড়ে পরের দিন বন্ধুদের সামনে গ্যাঁজলা বের করতে হবে। তা যতদূর মনে পড়ে, এই ঢ্যামনামিটা শুরু করে দিয়ে গেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। কমিক্স-ভিত্তিক বই কিন্তু একটা বাঁধা নিয়মে এগোচ্ছিলো। একদম আউট-অফ-দ্য-পাড়া চরিত্র, পাল্পীয় ব্যাকগ্রাউন্ড, যাত্রাসুলভ ক্ল্যাইম্যাক্স - এসব ২০০৭ পর্যন্ত ঠিকই গড়াচ্ছিলো। নোলানের চেষ্টা কিন্তু প্রথমদিকে খুব একটা পাত্তা পায়নি। হঠাৎ কী হল, মহকুমা সুদ্ধু লোকজন জোকারের জয়জয়কার শুরু করল। অ্যাকচুয়ালি, এই একটা জিনিস আমার কাছে সত্যি এখনো রহস্য। সে যাই হোক, তারপর থেকে সুপারহীরোদের মানবিক করার দায় সবাই ঘাড়ে নিয়ে নিলো। আর আমরাও সেই মতুয়ায় গড়াগড়ি দিতে লাগলাম। "ব্যাটম্যান বিগিন্স" যে কী, খায় না মাথায় দেয় আমরা জানি না। "দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস" দেখে নেটে পোস্ট পড়েছিলো "তাহলে নোলানও ঝোলান"। এদিকে "দ্য ডার্ক নাইট" কে নিয়ে কিছু বলা যাবে না, কারণ প্রত্যেক শুক্রবার কিন্তু বাতাসা কি নকুলদানা দিয়ে হীথ লেজারকে পুজো করতে হয়। তো সেই থেকে যে গুণমুগ্ধ ভক্তকূল তৈরি হল, সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে। ঝগড়ার কারণটারণগুলয় ছাড়া "সিভিল ওয়ার" কিন্তু বেজায় ভালো একটা সিনেমা, কিন্তু তাও আমাদের বলতে হবে "ডন অফ জাস্টিস" এর মত আর হবে না।

কিন্তু ভেবে দেখতে হবে যে কমিক্স-নির্ভর বইগুলোর যে একটা দায় থাকে ফর্মাটের প্রতি, সেটা হয়ে গেছে টিম বার্টনের "ব্যাটম্যান" বা স্যাম রাইমির "স্পাইডারম্যান" গুলোয়। পোস্ট-মর্ডানিজমের নামে সেগুলো ভাঙ্গাও হয়েছে "ওয়াচমেন" বা "স্কট পিল্গ্রিম"এ। অতএব আর স্টাইলের দোহাই টোহাই না, এখন পাতি যেটা চলছে সেটা হল "বিন্নেস"। সে মার্ভেলই বলুন বা ডিসি, কেউ এখন কম যায় না। হ্যাঁ, স্ট্র্যাটেজি আলাদা। মার্ভেল যদি বলে দেখ কত বেণীআসহকলা চড়িয়েছি, ডিসি পরছে ছোট্ট টিপ, ডার্ক লিপিস্টিক আর ডার্কার শাড়ী। সে তো সবাই ছবি বিক্রি করতে চায়।কিন্তু মার্কেটিং হতে হবে একমুখী। সেই জন্যেই তো "বোম্বে ভেলভেট"এর জেনরটা কী, মানে কাশ্যপের কেত শুনবো না কাপুরের কেরামতি দেখবো, তাই বুঝে উঠতে পারলাম না কেউ। নাহলে ওয়ান্ডার ওম্যান, যিনি ৩০/৪০ বছর ধরে একটাও অ্যাপিয়ারেন্স পাননি, তিনি ডিসি-বিশ্ব বানানোর তাগিদে হুট বলতেই একটা নিজের ফ্রাঞ্চাইজি পেয়ে যান?! কত বড় ধৃষ্টতা হলে কেউ বলতে পারে ২০২৭ পর্যন্ত আমার প্ল্যান রেডি। আরে বাবা, ওরাকলের মত প্রজেক্টেও দুই বছরের বেশি বাজেট বানানো হয় না, তো এ কী। এ তো আমাদের ভারতীয় কুর্সি হয়ে গেল, একবার পাঁচ বছর টিকে গেলাম মানে নাতবউএর মুখ দেখা পর্যন্ত আর কোনো চাপ নেই। এদেরও তাই চলছে। কারণও আছে। আমাদের তো বয়স কমছে না, তাও দুপয়সা বেশী খরচ করে আমির-শাহরুখ-সলমন দেখবো না, এদিকে পারলে "গেম অফ থ্রোন্স"এর ডিভিডি কিনে নিই। নব্বইএর দশক পর্যন্তও তাও ড্রামাগুলো বছরের সেরা ছবি হত - তা সে সেক্স টেক্স একটু বেশী থাকতো এই যা। ২০০৫ এর পর থেকে আর কথাই নেই, কোথায় কোন কমিক্স থেকে এবার ভাঙ্গা হবে আর পোস্ট-ক্রেডিট সিনে আর কোন চরিত্রের ক্যামিও, সেই চিন্তায় লোকে যৌবনজ্বালা পড়া ছেড়ে আইএমডিবি ট্রিভিয়া পড়ছে। বেদরকারী জিনিসগুলোতে প্রচুর সিরিয়াসত্ব আরোপ করে আমাদের আমোদ আর ঘ্যামের অন্ত নেই।

অবশ্য যাই হচ্ছে আর যাই হবে, তাতে অন্তর্জালকে কোটি কোটি কুর্নিশ। এটি না থাকলে আমরা আঁতেলচন্দ্ররা কী করতাম ল্যাদ খাওয়া ছাড়া। দুটো উদাঃ দেওয়া যাক যেমন। আজকাল একটা নতুন কায়দা চালু হয়েছে - ট্রেলার ব্রেকডাউন। মানে একটা ট্রেলার এর ব্যাবচ্ছেদ। কেভিন স্মিথের গুলো নাকি শুনেছি লম্বায় মূল সিনেমার চেয়েও বড় হয়ে যায়। তা একটা ট্রেলার ব্রেকডাউনে (বা বইএর প্রিভিউ/রিভিউ, বা রিঅ্যাকশান) কী লাগে। না, একটা এডিটর কারণ মুভিমেকারে বহুত ফিচার নেই, একটা ভয়েসোভার, রেফারেন্সের জন্যে প্রচুর ছবি আর সিধুজ্যাঠাসুলভ জ্ঞান। তার মানে একটা ভিডিও যদি বা আমি সাইবার ক্যাফেতে গিয়েও আপলোড করতে চাই, তার আগে আমাকে দৌড়োতে হবে আলিপুর, ফ্রেঞ্চ এম্ব্যাসি, ম্যাক্সমূলার ভবন, ব্রিটিশ কাউন্সিল আর অন্ততঃ দুবার টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও। পারলে কয়েকবার কলেজ স্ট্রিট আর সেমিনার টেমিনার (if any)। অত ভেবে কাজ কি, দ্বিতীয় কেসটাই ভাবুন। এই যে আমি চন্দ্রিল ভট্টাচার্য হওয়ার ভান করেই যাচ্ছি, তার জন্যেও কিছু না হোক একবার গোলপার্ক, তিনবার প্রেস (বাংলা টাইপফেস সহ) আর চারবার পাঠাগারে যেতে হত। তা সে সবকিছু পাতি বসে বসে হয়ে যাচ্ছে বলেই কিন্তু যত সব এন্থুসিয়াজম। পোদ নাড়াতে হলে ওই তকমাটা অ্যাফর্ডেবল ছিলো না। আর কুর্নিশ সেই সব মানুষদের যারা এইসবের তোয়াকা না করেই আঁতলামি মারিয়ে যেতেন ও যাচ্ছেন। এই ট্রেলার ব্রেকডাউনের কথা যখন আস্লোই, তখন চট করে সুইসাইড স্কোয়াডের ব্রেকডাউনটা শেয়ার করা যাক। এইটা দেখে প্রত্যাশা, মানে যাকে বলে প্রত্যাশা যদি বিচি হত, এক্কেবারে মাথায় উঠে গেছিলো। আসলে এই চ্যানেলটায় বেশ ভালই ব্রেকডাউন করে, আর "গেম অফ থ্রোন্স"এর অ্যানালিসিসও শুনেছি খুব সুন্দর হয়, দেখা যেতে পারে।




~এবারে বই কেমন হল সেটা~

ভালোমন্দ পরের কথা, যেই প্রত্যাশা বলছিলাম না আগের প্যারায়, সেটা ম্যাচ করেনি। কেন করেনি, সেইসব বলতে কিন্তু প্রচুর শো অফ করা হবে, নানা ঘাটের রেফারেন্স টানা হবে। প্রথমেই বলা যাক থীমটা নিয়ে। অ্যান্টিহীরোর গল্প নতুন কিছু না, প্রচুর দেখা যায়। সেই "অমানুষ", "খলনায়ক" থেকে হালের "মেগামাইন্ড" বা "ডেসপিকেবল মি" সিরিজ। মানে বলা হচ্ছে যাদের আপনার সমাজ বাজে ও জলিল ভাবে, তারাও একটা সোনালি হৃদয় ধারণ করে থাকে। সেই "মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ" ধারণার থেকে জাত। তো আমি ভাবছিলাম যে নতুন আর কি দেখাবে। প্লাস ওই "ডিসির উপর বিশ্বাস হারানো পাপ" থিওরি। মানে এবার মনে হয়, আফটার অল ভিলেন তো, সত্যিকারের ডার্ক দেখাবে। আসল হারামী, মানে ওই বাচ্চা, ফ্যামিলিও তোয়াক্কা করে না, আর ভ্যালুজ ট্যালুজ কিছুই নেই। তা সেটা কিছুই না, সবাই "আসলে তো একা, ওদের দেখার কেউ ছিলো না" বলে রেন্ডিরোনা আছে। তারপরে ক্যারেক্টার জাস্টিফিকেশান নেই। ডায়াবলো আর বুমেরাংদের মত অসাধারণ (শুনেছি) চরিত্রগুলো শুধু হয় সততা পাকাচ্ছে নাহলে এদিক ওদিক তাকিয়ে অবাক হচ্ছে। স্লিপনটের সাথে যা হল সেটা অপ্রত্যাশিত আর সত্যিই যাকে বলে ডার্ক। আর যে টাইপকাস্ট ভাবে জোকার-হার্লিকুইনের ভালোবাসার ফ্ল্যাশব্যাক দেখানো হল সেটার থেকে দশগুণ ভালো ছিলো আমাদের "দুই পৃথিবী"র ফ্ল্যাশব্যাকগুলো। আর পলিটিক্যালি কারেক্ট হলে বলতে হয় যে জ্যারেড লেটো সেরা জোকার কোনো ভাবেই নয়। আরেক অসাধারণ ডার্ক ক্যারেক্টার হল অ্যামান্ডা ওয়েলার। ভালো অ্যাডমিনিস্ট্রেটারের রোল, বেশ ম্যানিপুলেট করছে দেখাচ্ছে, চরমাবস্থায় কলিগরাও কেউ না এইসব নিয়ে ভালো রোল হলেও ছোটো। বাকী টিম ওই "বদমাশ কোম্পানি"র মত। আর যেটা ব্যাটম্যান-ছবিতে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পেয়ে এসেছে এতদিন, সেখানেই একদম হেগে দিয়েছেন এনারা। ভিলেন হয়েছে "এক্স-মেনঃ অ্যাপোক্যালিপ্স"এর মত, বলা ভালো তার মিনি-সংস্করণ। এটা একদম পাতে নেওয়া যায় নি। আর একটা কথা না বলে পারছি না, সেটা হল পোস্ট-ক্রেডিট সীনের পাগলামো। করতেই হবে একটা রিচুয়াল হয়ে গেছে। স্পয়লার হবে তাও বলি, লাস্ট সীনে দেখাচ্ছে ব্যাটম্যান অ্যামান্ডার থেকে এক্স-মেন সুলফ লোকের ফাইল জোগাড় করছেন। এই তো কদিন আগে একটা মেলের অ্যাটাচমেন্টে সব অসাধারণ ফাইলটাইল পাওয়া গেল, আবার কেন?!

____________________________________________________________________________________________________
*এই নব্য ব্যাপারটা হুতোমের নব্য-বাবু বা তৃতীয় বিশ্বের নব্য-নাৎসিদের মতই। ভুল বুঝবেন না, আজকাল যতই নব্য-নাৎসি একটা খিস্তি বলে পরিচিত হোক না কেন, আমার ধারণা কথাটা চালু হয়েছিল যখন নাৎসি হওয়াটা একটা ইন-থিং ছিলো।

Sunday, July 3, 2016

Types Of The Second Movie In Line

Even though the title of the blog is very much misleading, we are going to classify/de-classify the types of "the second movie in line". That is the word I could come up with after googling for 50 minutes. Just to be on same page, the later film can be a sequel/prequel (in broader sense); we are not talking about the movie timeline here, but of the release dates.

First, let me clarify why I am not using the word "sequel"/"prequel". It was just to show off that I have a very unique and deeper perspective on these things. It is like the snobbery* that makes me feel if you are different than the mass, you are the class. The anti-thesis of this funda is quite complicated. That says, if all around you start to love anti-establishment flick, then you have to keep faith on stereotypes. Anyways, I am losing my track here already, so coming back to the point. Another reason why I am not using the words is that I did not get proper understanding of it from Wikipedia/blogs. So just keep some patience with my awesome english and accept the longer phrase instead of sequel/prequel.

Now, the list. I am from a pseudo-creative field and having a bad habit of bulletting points. Believe me, that works if you want to convince somebody with lame justifications. So, here it is

  -  Pure Continuation : Like story goes. And it does not have the burden to have the same template. Rare examples are "Bhootnath" or "Indiana Jones" series. It is very rare because when the first film goes well, people will like to see the similar storyline. I am not sure if we can put "Gremlins" into that because even though they have switched genre, the story template was same. Films like "GooGaBaBa" is also a continuation of the protagonists' life but, as I have mentioned above, filmmakers followed the templates shamelessly everywhere. So let us not put those in this 'Pure' section.

  -  Thematic Sequel/Prequel : All new Indian film series like "Jannat" or "Blood and Cornetto". It features similar characters (most of the time, with same actor/actress in lead role/s) and similar crisis/resolution script. Bloggers and pretentious folks call it "Spiritual Sequel/Prequel" .

  -  Spin Off : Like "S. Darko" or "Scorpion King", the later movie will surround upon another character (non-Lead side Role) form the first. It is like if somebody is making a movie on "Sher Khan" or "Raghunandandas Govardhandas Vaghawle". Again, not sure if we can call "Tere Bin Laden : Dead Or Alive" a spin off as there was no concept of the director charcater i.e. Manish Paul in "Tere Bin Laden". Actually the so-called new-age indian filmmakers can think about it. As per the market research, those would be instant hits.

  -  Crossover : That is more frequent in kids movies e.g. "Freddy vs Jason" or "King Kong vs Godzilla". Even though this tren seems to be like inherited from comics culture, but on the same time, Japanese monster films were another pioneer for that. The driving force of this was developed purely based on money. Again, in India, I have not come across any movie like this. Once in 2013/2014, there was a movie released with both of the very famous local detectives Feluda and Byomkesh Bakshi, named "Doorbeen". I have not watched that film, just heard those characters are kind of caricatures, not the original ones. So, not considering that kind in this part. The second question that might come to our mind is that are "Superman vs Batman" or "Civil War" crossovers. Firstly, if there is a book depicting the fictional ego clash between "Rahul" and "Prem", and somebody is making a film on it, that would be just an adaptation I guess. And yes, I heard there are comic books with these kind of duels (triels, quardrrrrels?!). Secondly, The industry of Comics-turned-Films are turning like Big 'n Large day by day and doing the filthiest experiments on the characters like those mad German and French Surgeons used to do during world wars. So I thought not to consider comic book adaptations in the section of crossovers. On the other hand, it might be my confusion.

  -  Combination Of pure continuation And thematic one : Almost all of the series made till today. The list of the films that I was trying to ignore in last few categories. From "Pirates of the Caribbean" to "Ishqiya". Actually, if made properly, these can be called as "Sequels"/"Prequels". The main point of smooth escalation is that the characters are same. Secondly, people will not get any unexpected push (unlike why everybody hated "Talaash") and everybody will get their share. Nothing to explain. Very textbook concept, very hard to follow (i.e. making properly) and very simple.

  -  Spoof : Caricature of the original story. example, "Ghoom" or "A Haunted House".

  -  Munnabhai Scenario : As it is written, I do not know any other example of this kind of series anywhere else. It is more like a Type 2 than Type 1, but somehow the lead characters (with names) will be intact. So, the characters are similar, crisis is different and will be handled in similar way - but there characters would be different also and there will be no remembrance of the previous occurrences.

  -  Mockbusters : These are just like legal and illegal sons of those British-era Landlords. Both got the same storyline, but one will be more shining because of the production house. Like, for "Sholay", there was "Ramgarh ke Sholay" and for "Transformers", there was "Transmorphers". These are not actually the "second movie in line", but same movie in a row. In wikipedia, a simplified explanation is given - ".. movie created with the intention of piggy-backing on the publicity of a major movie with a similar title or subject or both. Mockbusters are often made with a low budget.. A mockbuster may be similar enough in title, packaging, etc. that consumers confuse it with the mainstream film it mimics, but their producers maintain that they are simply offering additional products for consumers who want to watch additional films in the same subgenres.". The production company "The Asylum" is entirely based on these kind of products. Sometimes big houses will do that and got stuck in legal issues to have fun. For example, "Armageddon"-"The Core", "A Bug's Life"-"Ants" etc.

  -  Intended Split : Like "Kill Bill" or "Gangs of Wasseypur" series. Because the directors are too dull to compact the story in 90 minutes, they have started this genre (?!). Goes very well with South Korean revenge sagas where in the first part they will show the crisis and left you hanging and one the second, it will try to resolve it. In our childhood days, there used to be a programme telecasted on TV called "Chhuti Chhuti". There, along with other fun shows, a movie was shown up split in 3-4 episodes. Nothing different here. Next one that we are waiting for is "Bahubali" :)

  -  Name Series : For some unknown reason, People like Yash Johar, Mehmood, Bhanu Banerjee, Jahar Roy and Sunny Leone appeared in many films with their original names, played the characters what they are (or wanted to be). This is just not because of their image over their work. If that was the reason, Salman/Shahrukh/Amir would have appeared every movies with their own names. And already I have crossed my limits to exaggerate the classification, let this be the last of the list.

Recently, we got to know that the people in Vishesh Films are planning for the "Raaz Reboot". Seriously, why?! The concept of reboot should be applicable for Type 1 I guess, not Type 2 like "Raaz" series. Anyways, Post-AnuDiba Bollywood can be portrayed as the pioneer for deconstructing form and content, let us watch the teaser meanwhile




 

The idea of this classification stroke when J J Abrams mentioned "10, Cloverfield Lane" as the "blood relative" of "Cloverfield". We started to think what is the base of the word-jugglery here?! This classification is based on the point of view of the audience. There might be a different look (and there is) for that which can show how "the second movie in line" or its concept is getting developed. For that, I just went through a very nice and detailed blog with very apt examples in http://whatculture.com/film/6-basic-types-of-film-sequels.
 

__________
*Have to pronunciate as the intense of "Sorcery"

Friday, June 10, 2016

এক্স-মেনঃ অ্যাপোক্যালিপ্স - কথা দিচ্ছি এর পরের ব্লগে ট্র্যাকে ফিরবো

আগের বার যেটা বলেছিলাম সেটার লিস্ট প্রায় তৈরি করে ফেলেছি। মাঝে কয়েকদিন অফিসে খুব ঠাপ গেছে তাই বাড়িতে ফিরে ল্যাদ ছেড়ে কিছু লেখা হচ্ছিলো না। কিন্তু একটা সিনেমার গরম গরম রিভিউ না করে ঠিক শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না। সেটা হল, এক্স-মেনের নতুনটা। এটা আরো কেন প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে - কারণ হত পোস্টে যে ব্যাপারটা নিয়ে চোদাচ্ছিলাম, সেটার সাথে অনেকটা মিল আছে এটায়। ঠিক করে বলতে গেলে আসলে আগেরটা "ডেজ অফ দ্য ফিউচার পাস্ট"এ সেই ব্যাপারটা করা হয়েছিল। কি ব্যাপার, না "ডেড অর অ্যালাইভ"এ দেখানো হল যে আগের গল্পটা অবাস্তব, আর "ফিউচার পাস্ট" এ আগের পার্টের ঘটনা গুলো যে হয়নি/হবেই না, সেই ব্যাপারটা কন্ট্রোল করা হল। জানি এটা ঠিক করে লিখতে পারলুম না। আসলে আমাদের ভাষা/ভাবনা এতটাই কাল-ওরিয়েন্টেড, যে খুব কম কথায় টাইম ট্রাভেল ব্যাপারটা বোঝানো শুধু কবিদের সাধ্য। তাও আরেকবার চেষ্টা করে দেখি। "ফিউচার পাস্ট" আসলে একটা প্রিকোয়েল যেখানে অতীতে গিয়ে টিয়ে পুরনো এক্স-মেন সিরিজের স্থান-পাত্রের প্রচুর পরিবর্তন করা হয়। সেদিক থেকে ধরতে গেলে এটাকে ঠিক প্রিকোয়েলও বলা যাবে না। অথবা যাবে, সেই "শিল্পীর স্বাধীনতা" কচকচানি টা টানলে। মানে হয়তো লোগান অত আগে আগে প্রোঃ এক্সের কাছে আসবেই না, বা ভিক্টর হয়তো ম্যাগ্নেটোর সাথে দেখাই করলো না। তো এই ক্ষেত্রেও তো তাই হল না?! যে পরের (পরের বলতে আমি পরে রিলিজ পাওয়া বোঝাচ্ছি) ছবিতে আগের (একই অর্থে) ছবির বাস্তবতা শেষ করা হল। হয়নি মানে সিনেমাটারও থাকার কথা না। এবারে তো শুধু এইটা দেখানোর অপেক্ষা যে ব্রায়ান সিঙ্গার সেই Y2K উষালগ্নে গিয়ে নতুন ভাবে ভাবা শুরু করছেন। হ্যাঁ, তাও হতে পারে, ওই যে বললাম, শিল্পীর স্বাধীনতা। গাই পিয়ার্স অভিনীত "দ্য টাইম মেশিন"এ কালযাত্রার মধ্যে মধ্যে আরো অনেক ঘটনার মধ্যে এটাও দেখিয়েছিলো যে এইচ জি ওয়েলস গল্পটা লিখছেন, আর ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সেটা নিয়ে সিনেমাও বানানো হচ্ছে।

তো "ফিউচার পাস্ট"এ যেসব দুরূহ কাজগুলো করা হয়েছিলো, সেগুলো এফেক্টিভ হওয়া শুরু করলো "অ্যাপোক্যালিপ্স"এ। উদাঃ ময়রার বিয়ে ও বাচ্চা, কুইকসিলভারের স্মৃতিভ্রম (?!) ইত্যাদি। জানি দিনে দিনে আরো এক্স-মেন আসবে, প্রথম তিনটের রিমেক তো আর সম্ভব না, রিবুট হবে। অ্যাকচুয়ালি রিবুট ও না, কন্টিনিউয়েশান। সেটা বিস্তারিত বলার জন্যে অবশ্য পরের ব্লগটা আছে। আর আছে কর্নেল স্ট্রাইকার। বাপরে বাপ, এই একজনই কমন ভিলেন আছেন এক্স-মেন সিরিজে। এনাকে যেভাবে বার বার, নানা রূপে এক একটা বইতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেটা হিসেব করে দেখলে শার্লক হোমস বা আমাদের ভারতীয় সিরিয়ালে বাবা/দাদা/প্রেমিক/মাসশাশুড়ী/খাঁচাগাড়ীওয়ালার প্রত্যাবর্তনের সাথে আলোচনার দাবী রাখে*। এনার অবস্থা হয়ে গেছে শিশুপালের মত, মোটামুটি একশোবার মিউট্যান্টদের পোদ মারার চেষ্টা না করে নাশ হবে না। এবার তো ভেবেছিলাম যে ইনি আর ফিরবেনই না। আমি সিরিয়াসলি ভেবে পাইনা একটা মানুষের জীবনের দাবীটা এরকম হয় কী করে, মানে যতই রিবুট/রিমেক হোক, সেই দেখি তিনি সেই সরকারের জন্যে মিঃ শেল্ভাঙ্কারের মতো সুগন্ধী গাছড়া (মানে, মিউট্যান্ট) খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এখন তো এইসব সিরিজ ফিল্মে একটা ব্যাপার খুব হয় যাকে কাগজে লেখা হয় "প্রোটাগনিস্ট অ্যান্টাগনিস্ট রিভিজিটিং"। মানে হেক্টর বারবোসা বা টেরি বেনেডিক্ট আজকে ভিলেন তো কি হয়েছে, পরের সিনেমাটায় সে ভালোদের দলে ঢুকে যেতেই পারে। বা উল্টোটা যেমন দেখা গেছিলো "স" সিরিজে। সেরকম কি স্ট্রাইকার বাবুর জন্যে করা যাবে না অদূর ভবিষ্যতে?!

তবে এক্স-মেনের প্রসঙ্গটা শুধু টাইমলাইন, শিল্পীর স্বাধীনতা বা "অ্যাপোক্যালিপ্স"এর রিভিয় কেখার জন্যে পাড়ি নি। মুভি সিরিজ জিনিসটা এমনিতেই আমার খুব ভাল্লাগে, তার উপরে এক্স-মেন আরেকটা ব্যাপারে প্রায় কমার্শিয়াল সিনেমার পথিকৃৎ। সেটা হল পুরো ফ্যামিলিটাকেই হিরো করে গল্প এগোনো। "শোলে" বা "ত্রি-" সিরিজের মত বইগুলোতে কিন্তু দুজন/তিনজন/চারজন (+) আলাদা হিরো এবং তাদের যথেষ্ট ক্যারেক্টার সিমেট্রি আছে। স্করসেসের গল্পে গোষ্ঠী দেখানো হলেও একজন পিভটাল চরিত্র (ডি নিরো/ডি ক্যাপ্রিও) থাকবে। রোল্যান্ড এমেরিখের ছবিতে আলাদা লোকজনের রোল থাকে বটে, কিন্তু তারা কোনোভাবেই পরিবার নয়। উল্ভারিনের স্ট্যান্ডালোনগুলো বাদ দিলে, এক্স-মেন কিন্তু সেই জিনিসটা নিয়ে চলেছে। "কাঞ্চনজঙ্ঘা"র পরে খুব একটা বেশী সিনেমায় কিন্তু এটা পাওয়া যায়না। আরেকটা ব্যাপার হল, ওই গ্রুপ গ্যাদারিং এর কনসেপ্ট। যেটা ভাঙিয়ে মার্ভেল লাল হয়ে গেলো, আর ডিসিও সেই জিনিস শুরু করে দিয়েছে এই বছরে। মাঝে অবশ্য খুব মনে হয়েছিলো এই এতো রি-রি-রিবুট কী ভালো হচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে, চিন্তা নেই, গল্প ভালোই এগোচ্ছে। হিউ জ্যাকম্যান যে এখনো ছাড়েনি, সেটাও আমাদের কম পাওনা না। খালি ভয় যে ডিজনির সাথে আবার মার্জ না করে যায়। ডেডপুল/স্পাইডারম্যান এই ব্যাপারটাতে কোনো মধ্যস্ততা করে কিনা দেখার জন্যে আমি  তে দেখছিলাম কোনো স্পুফ বানিয়েছে কিনা, দেখলাম ওরা বলছে ফ্যানদের আইডিয়াও সাদরে গৃহীত হইবে



~এবারে বই কেমন হল সেটা~

প্রথম কথা বলে নি, আমি এইসব ব্যাপারে খানিকটা বিশুদ্ধবাদী আর একটাও কমিক্স পড়ি নি। যখন হিথ লেজারকে নিয়ে জোকারের কাস্টিং অ্যানাউন্স করা হয়েছিলো, আমি অর্কুটে খুব চিল্লিয়েছিলাম "এ কী সর্বনাশ হল" বলে। তো নতুন স্টর্মকে তো একদম পোষায়নি। জিন গ্রে কেও না। তারপরে আবার বিস্ট আর হ্যাভকের সাথে চার্লস ফালতু ইয়ার্কি মারছে, এটা প্যাট্রিক স্টুয়ার্টের সময়ে ভাবাই যেতো না। এল সাবাহ নুরের রিক্রুটমেন্টও খুব কনভেনিয়েন্ট মনে হয়। ওনার ক্যারেক্টার পোস্টারটা অত "অরণ্যদেব"/"হ্যাম্লেট" মার্কা দেখে একটু বিদিক হয়েছিলাম। আর, ওই এক্স-ম্যানশান ধ্বংস হওয়াটাও আরেকটু ডার্ক (গণসমাধি) করে দেখালে ভালো হত। ম্যাগ্নেটোর বউ-বাচ্চা মরার থেকে কারখানায় যেতে এতক্ষণ লাগলো কেন সেটাও বোঝা যায়না। কিন্তু এত্তসব খোঁচাখুঁচির পরেও দুটো জিনিস অসাধারণ দেখানো হয়েছে বলে আমার মনে হয়

  ১। ওই যে "প্রোটাগনিস্ট অ্যান্টাগনিস্ট রিভিজিটিং" বলা হল না, এখানে সেটাও অতিক্রম করা হয়েছে। এক্স-মেন কেউ প্রথম থেকে দেখলে ভিলেন সম্পর্কে সাদা-কালো ব্যাপারটা ধারণাটা অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। শুরু হল ম্যাগ্নেটো-প্রোঃ এক্স এর দ্বন্দ্ব দিয়ে, তারপরে সরকার কে ভিলেন করা হল, পরে বলা হল না গড়পড়তা মানুষই চুতিয়া। লাস্ট ফিল্মে বলা হল প্রান্তিক মানুষরাই কুবুদ্ধির জাসু, আর এখানে আবার আরেকজন মিউট্যান্টকেই ফিরিয়ে আনা হল খলনায়ক হিসেবে। দারুণ সার্কেল, যদিও জানি, বৃত্ত শেষ হতে ঢের দেরী।
 ২। এল সাবাহ নুরের কমপ্লেক্সটা ভাবুন, একদিকে সে বলছে যে "মূর্খ মিউট্যান্ট, দরিদ্র মিউট্যান্ট, ব্রাহ্মন মিউট্যান্ট, চণ্ডাল মিউট্যান্ট আমার সন্তান", আর ভাবছে বাকি সবাইকে গুড়িয়ে দেওয়া হোক। আসলে সে মিউট্যান্ট ব্যাপারটাকে কে ঈশ্বরের সাথে গুলিয়ে ফেলছে। কারণ সে বিংশ শতাব্দীর মানুষ না, সে এসেছে তার সে প্রাচীন দিনের জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে। এটাও চমৎকারভাবে দেখিয়েছে বইতে।

____________________
*ফেলুদার ফেরার ধারে কাছে অবশ্য কেউ আসতে পারবে না। সেই সভা-সেমিনার করে লজ্জার মাথা খেয়ে আবীরকে প্রতিষ্ঠা দিয়ে আবার সেই দাঁত পড়া/ ভুঁড়ি বেরোনো সব্যসাচীই আবার ফেলুদা করছেন। সন্দীপ রায়ের এত পুলক থাকে কী করে এখনও

Monday, May 2, 2016

তেরে বিন লাদেন - চার নাম্বার দেওয়ালের কচকচানি

ভেবেছিলাম এইবারে আনুরাগ দিবাকরের পোদ চাটাচাটি নিয়ে লিখবো, কিন্তু মাঝে একটা সিনেমা দেখে ফেললাম। "তেরে বিন লাদেন - ডেড অর অ্যালাইভ"। এমনিতেই আগের বইটা আমার খুবই ভাল্লেগেছিলো। তাই একটা ইন্টারেস্ট তো অলরেডি ছিলোই। দেখা হচ্ছিলো না দুটো কারণে - এক নাম্বার হল কাস্টিং নিয়ে স্নবারি। আমরা যারা চারটে শ্রীজিৎ আর তিনটে নোলান দেখে নিজদের রজার এবার্টের ঠাকুর্দা ভাবা শুরু করে দিয়েছি, তাদের এই একটা ব্যাপার আছে। আমরা বড় মুখ করে বলি যে "স্টারের জন্যে না, আমরা সিনেমা যাই অভিনয় দেখতে" তাদেরও কিন্তু একটা ধরাবাঁধা ফর্মাট আছে। সলমন খান বা সানি লিওনের সিনেমা যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না আমরা। আর কঙ্গণাকে ডিচ করেছে বলে ঋত্বিককেও বয়কট করেছি (অবশ্য ঋত্বিককে নিয়ে নাকউঁচু হওয়ার আরো কারণ হলো একে দেখতে দারুণ, সিক্স/সেক্স প্যাক আছে, অসম্ভব সব রোম্যান্টিক হিট দিয়েছে আর বাবার ফ্যাক্টরিতেই কাজ করে)। তো সেই মানসিকতারই ফসল হলো যে যখন আলি জাফরের (পাকিস্তানি বলে একটু গ্রেস পাবেন) বদলে মণীশ পালকে নিয়ে সিনেমাটা হচ্ছে, সেটা খারাপতর হতে বাধ্য। দ্বিতীয় কারণ, সবাই জানেন, নেটে ভালো প্রিন্ট পাওয়া যাচ্ছিল না। তো গত শুক্রবার যখন দেখলাম মোটামুটি একটা কপি ইউটিউবে ছেড়েছে, দেখলাম যে কি কনসেপ্টে বানিয়েছে রে বাঁড়া। আমাদের দেশে এইরকম দেখিনি আগে। এখানে দেখালো "তেরে বিন লাদেন"এর ডিরেক্টরের গল্প, কীভাবে সে নুরের অভিনেতাকে খুঁজে পায়, এবং ইনভেস্টার জোগাড় করে একটি কাল্ট বানায় (তবে আসল গল্পটা অন্য জিনিস নিয়ে - সেটা হল ফার্স্ট পার্টের পরের গল্প)। তার মানেটা কী দাঁড়ালো, যে প্রথমটা আসলে ঘটেইনি - সেই ফোর্থ ওয়ালের তত্ত্ব। এখন ব্যাপার হলো, আমি যখন "মরুতীর্থ হিংলাজ"এর চরিত্রকে দিয়ে "মন ডোলে" গাওয়াচ্ছি আর আরেকটি ক্যারেক্টার সেই ব্যাপারটাকে নিয়ে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন, তার অর্থ এই যে আমি বলে দিচ্ছি "নাগিন" একটা স্টোরি মাত্র। এবং সেটা এই পৌনে দুশো বছরের সিনে-ইতিহাসে অজস্রবার হয়েছে যখন একটা সিনেমায় আগের (বা আপকামিং) ছবিটার গান লোকের মুখে বসিয়ে বা সিন স্পুফ করে সেটার অস্তিত্বটাকেই (মানে সিনেমার অস্তিত্ব না, ঘটনাটার বাস্তবিকতার অস্তিত্ত্ব) অস্বীকার করছি। মৃণাল সেন তো "ইন্টারভিউ"তে দেখিয়েছিল কেমন করে "পথের পাঁচালী"র অভিনেত্রীকে নিয়ে এই সিনেমায় ব্যাবহার করা হয়েছে। "বিপ্লবীদের দঙ্গলে"র কার্নিভালেই একটা লোককে অ্যাস্টেরিক্সের মুখোশ পরে দেখা গেছিলো।

কিন্তু এখানে ব্যাপার অন্য - একই ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা পার্টে অন্যটাকে কল্পনা বলে নস্যাৎ করা যায় কি?! ধরুন, সিভিল ওয়ারে যদি দেখায় সবাই "অ্যাভেঞ্জার"এর শুটিংএর সময়ে জোস হুইডনের কাছে কেমন বকাঝকা খেয়েছিলো, বা "বকুল কথা"তে যদি লেখা থাকতো বকুল একটা সেমিনারে গেছে যেখানে আশাপুর্ণা দেবী বলছে কোথা থেকে "সুবর্ণলতা"র চরিত্রগুলোকে খুঁজে পাওয়া গেছিলো - তাহলে চতুর্থ দেওয়াল ভাঙতে ভাঙতে কেমন মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম হয়। দেশে তো মনে পড়ছে না বললাম, বিদেশেও খুব একটা আন্দাজ নেই আমার। লাস্ট দুয়েকটা বছরের মধ্যে একটাই মনে পড়ছে - "দ্য হিউম্যান সেন্টিপিড"। সেখানে সিকুয়েলে, সিকুয়েল বলাটা ঠিক হলো কিনা জানি না, দেখাচ্ছে একটা লোক প্রথমটা দেখে এতো ফিদা যে ওই কান্ডটা ঘটানোর জন্য প্ল্যান করছে। "ডেড অর অ্যালাইভ"এ অবশ্য আরো অনেক কায়দা আছে। যেমন, দুটো বইতেই পীযুশ মিশ্র দুটো আলাদা আলদা চরিত্র করেছেন যেটা খানিকটা হলেও গল্পের চালিকা শক্তি। বাকি সবগুলো রোলকে দিয়ে দেওয়াল ভাঙ্গা হলেও এনার ক্যারেক্টারটা কিন্তু একদম ইন্ট্যাক্ট রয়েছে। শুধু এক জায়গায় পীযূষের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে "এই তো একজন সিনিয়ার অ্যাক্টর পাওয়া গেলো"। তবে এটা অনেকটা রেফেরেন্স টানার মত - যেটা "মুন্নাভাই" সিরিজে প্রচণ্ডভাবে আর "গোলমাল"এ টুকরোটাকরা পাওয়া যায়। বা "ব্লাড এন্ড কর্নেটো" সিরিজের গল্পগুলোতেও। রিসেন্টলি যে "হাউসফুল ৩"এর ট্রেলার বেরিয়েছে তাতে অভিষেক বচ্চনের রোলটাকে বলা হচ্ছে বাকি দুজন (অক্ষয় আর রীতেশ) তো আগেই ঢুকে গেছে, এইবারে তোমার এন্ট্রি হলো। এগুলো তাও এই অল্পবুদ্ধির ক্যাপাসিটিতে নেওয়া যায়। কিন্তু ওই যে একই কন্টিনিউয়েশনে দেওয়াল ভাঙ্গার ব্যাপারটা, চতুর্থ মাত্রার মতই, বস ঠিক নিতে পারছি না। আমি বলছি না যে করা যাবে না, কিন্তু জাস্ট ভাবুন, এরপরে হয়তো "তেরে বিন"এর ট্রিলজি বানানোর জন্যে কেউ উঠে পড়ে লাগলো এই ভেবে যে নেক্সট ছবিটায় দেখাবে "ডেড অর অ্যালাইভ"এর সময়ে প্রযোজিকাদের কেমন টেনশন গেছিলো। তাহলে তো সেই "ডেডপুল"এ যেমন বলেছিল না, চারি চারে ষোলো নাম্বার দেওয়াল ভাঙার বন্দোবস্ত করতে হবে।

এইটা নিয়ে রুমমেটের সাথে কথা বলছিলাম, তো সে বললো, "এই তো সেদিন তুই বললি নাকি আর্টিস্টদের যা ইচ্ছে তাই করবে, তা সিকোয়েল হলেই তাকে কন্টিনিউ করতে হবে মূল কাহিনীকে তার কি মানে আছে"। আমি কোঁত করে ঢোঁক গিলে নিলাম কারণ এটা একেবারে ঠিক কথা। আর কথা বাড়াইনি, ভাবছি আরেকটু পড়েটড়ে (ওই গুগল আরকি) এবার সিনেমার সিরিজ নিয়ে একটু শো অফ করে জ্ঞান দিতে হবে। দেখতে হবে "জন্নত" আর "জন্নত ২" এর মধ্যে ইমরান হাশমি ছাড়া কি সুতো আছে যার জন্যে এটা একই ব্যানারে/টাইটেল ফ্রেমে ছাড়া হয়?! তবে ভাগ্যেস কথা "হাউসফুল ৩"র ট্রেলারে ওই সো-কলড "ফালতু" ইয়ার্কি ছাড়াও আরো কিছু ছিলো যেটা আমার ঘ্যাম লেগেছে - দেখুন সেটা সবারই দারুন/রদ্দি লাগে কিনা



~এবারে বই কেমন হল/ছিল সেটা~

পার্ট ১ :- ধুর অত ডিটেলে মনে আছে নাকি, সেই কবে দেখেছি। শুধু একটা জিনিস দারুণ লেগেছিলো যে ওই ইন্দো-পাক বন্ধুত্ব/বৈরিতা নিয়ে বেশী চোদানো হয়নি। আর সত্যি বলতে আলী জাফর তখন আমাদের দেশে সেই অর্থে স্টার ছিলো না, তো পুরো একটা আনকোরা নাট্যগোষ্ঠী দিয়ে একটা কাল্ট ফলোয়িং তৈরি করার জন্যে ঠিকঠাক ম্যাটেরিয়াল যা লাগতো সবই সিনেমাটায় ছিলো। গানটান বাদ দিয়ে একেবারে কমল স্বরুপ হতে চায়নি - আর পুরো বইটা জুড়ে বেশ যাকে বলে "নির্মল আনন্দ" থীম ছিলো।
পার্ট ২ :- আঁতেলদের কথা বাসী হলে ফলে যায়। মণীশ পাল বেশ শক্ত করে দাঁড় করালেও আর একটা জব্বর ভিলেন (এটা বেশ ভালো হয়েছে কারণ এইরকম টিপিক্যাল ভিলেনরা বলিউড থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছেন "মর্দানি" টাইপের খলনায়কদের জন্যে) থাকতেও বাকিটা অতটা ভালো হয়নি। এক তো প্রতিটা বইতে সিপিয়েমের মত আমেরিকা-বিরোধিতা করাটা* একটা ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে। দুই, ওই সুগন্ধা-রাহুল-চিরাগদের যে গ্রুপটা, তাদের অভিনয়ের খামতি। এম্নিতে রাহুল সিংহ বেশ ভালো অ্যাক্টর কিন্তু এখানে পুরো ক্যালানে লেগেছে। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা পীযুষের অতি-অভিনয়। ভদ্রলোক দারুণ অভিনয় জানেন মানছি, কিন্তু প্রত্যেকটা বইতে ওই যে ম্যানারিজম দিয়ে ছড়িয়ে ফেলেন - তার জন্যে "গুলাল"এর অনুরাগ দায়ী হলেও তাকে সামলানোর জন্যে "গ্যাংস"এর ছড়ি হাতে অনুরাগের দরকার।

_______________________________________
* সেটা অবশ্য আমার অনসাইটে আসার পরে এইসব পুঁজিবাদী শিক্ষার ফল

Sunday, April 24, 2016

ফ্যান - আর দুনিয়া ভর স্টিরিওটাইপকন

যশরাজের কথা যখন উঠলই, একেবারে "ফ্যান"এর রিভিউটাও করে ফেলি। শাহরুখ খান আর কতবার নিজের রোলটা নিজেই করবেন?! সেই যে শুরু হয়েছিল "ওম শান্তি ওম"এ, তার পরে "লাক বাই চান্স" (তাও এতে নিজের নামটাই ব্যবহার করেছিলেন এই রক্ষা), "বিল্লু বারবার" হয়ে এদ্দিন পরে এই। তবে এটা শুধু বলিউড ছবিতেই সীমাবদ্ধ নেই। উত্তমকুমার করেছেন, মিঠুন করেছেন, জুহি চাওলা করেছেন, জ্যাক ব্ল্যাক করেছেন, হালে প্রসেনজিত বা ঋতুপর্ণাও বাদ নেই। কিন্তু একটা সীমা রাখা দরকার। প্রত্যেকদিন দাদা বউদি বা আন্ধ্রা হাউসের বিরিয়ানি খেতে ভালো লাগে না। গুণীরা মানবেন, বলবেন "সব সেক্স না"। লোকজন টাইপকাস্ট হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা থেকে তো বেরিয়েও আসতে লাগে, নাকি। কিন্তু এইসব কথা সেই আদিযুগ থেকে চলে আসছে, কেউ শোনে না। আমরাও সেই একই জায়গায় আটকে গেছি। অফিসে জানি এই কাজটা আমি ব্যাপক পারি, অতএব এটাই বারংবার করে এমপ্লয়ি অফ দ্য উইক। তো এটাও বোঝা দরকার যে শাহরুখ খানও সেই হিসেবে নিজের কাজ করছেন। ঠিক আছে। এই যে আমি জনি ডেপের ফ্যান সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘুরে বেড়াই, তিনিও তো প্রত্যেক সিনেমায় সিরিওকমিক রোল করেন আর প্রচুর মদ খান - তার বেলা?! যার ছবিটা খালি ঠাকুরঘরে তুলতে বাকি রয়ে গেছে, সেই টম হ্যাঙ্কস তো প্রত্যেকটা সিনেমায় সেমি-বোকা আর আল্ট্রা-ভালো ক্যারেক্টার করেন (এক 'দ্য লেডিকিলার্স' বাদে, যেই কারণে লোকে পাতে দেওয়ার প্রয়োজন লোক ভুলে গেছে)। সকলের গুরুদেব মার্টিন স্করসেসে* তো যে গল্প বানান তাতেই একটা লোকের উত্থান দেখানো হয় একটা ভয়েসওভারের সাথে, আর সেই যে বেসিক্যালি খারাপ হয়েও সবার নয়নমণি হয়ে গেছিল, সে খুব একটা নোংরা কাজ করে ফেলে। ইমতিয়াজ আলি তার নবতম ছবিতে বলেছেন, সবই সেম  গল্প, ক্যারেকটার আলাদা অল্প অল্প। যদিও মনে হয় ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে পাবলিকের অভিযোগের একটা জাস্টিফিকেশন ছিলো এটা, কিন্তু কথাটা খাটে সিনেমাজগতের ট্রেন্ড ফলোয়ারদের ক্ষেত্রে। অনুরাগ কাশ্যপের গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর হিট হওার পরে এইসব গুলিগালা নিয়ে সিনেমা করা কত বেড়ে গেছিলো মনে আছে - "বুলেট রাজা", "রিভলভার রাণী", "বন্দুক", "কোয়েলাঞ্চল", "মীরাঠিয়া গ্যাংস্টারস"। "গুণ্ডে"ও তো একই ফর্মুলার ফসল। তবে বম্বের মোটা কাপড়কে খিস্তি মারলেই তো হবে না, এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখাও দরকার। অস্কার থীমের কথা তো সবাই জানেন। প্রান্তিক চরিত্র না হলে পাওয়া মুশকিল। মানে পাগলা, গে বা ক্যালানে ক্যারেক্টার করলে, আমাদের যেমন এসসি সার্টিফিকটের সুবিধা আছে, প্রাইজ বাঁধা। অবশ্য ইউরোপীয় চরিত্র হলে আর কোনো এক্সট্রা অ্যাডেড ফিচার লাগে না কারণ মার্কিন বোর্ডের কাছে সমুদ্র পার হলেই প্রান্তিক। এগুলো সব ফিল্ডেই এক। অতএব ওই একই ছাঁচে ঢেলে প্রোডাক্ট বের করতে থাকা আর আমাদের ১৪০ টাকার টিকিট আর ১১০ টাকার পপকর্ণ আর ৫০ টাকার জলের বোতল দিয়ে সেই গেলা। যা বলছিলাম। তো সেই টুকরো টুকরো ডিসিশানের পরিণতি হোলো ফ্যান। সমালোচকরা সবাই নাকি পাগল হয়ে গেছেন অভিনয় দেখে। আনন্দবাজারের তো মুখ দিয়ে ফেনা উঠে গেছে। সিরিয়াসলি, এবিপিপ্লাসের রিভিউ/প্রিভিউ/পোস্টভিউ পড়ে মনে হয়েছিল যে প্রতিদিন পড়ছি (প্র -> তৃ -> ম -> শা -> ফ্যা) নাকি সত্যি সত্যি এত ভালো হয়েছে। অবশ্য পাপী মনের কি এটা মনে থাকে যে এই পেপারেই "চাঁদের পাহাড়"কে টলিউডের শোলে বলা হয়েছিল। তো দেখলাম সিনেমা এবং কিছুই পেলাম না। না, কয়েকটা জিনিস হেব্বি ভালো হয়েছে, যেমন হল শাহরুখ খানের নিজের রোলটা। সেটা "বিল্লু" বা "ওম শান্তি ওম"এর চেয়ে অনেক বেশী পরিণত ভাবে লেখা আর অভিনয়টাও বেশ দুর্দান্ত মাপা হয়েছে। দুই নাম্বার, গত ব্লগেই লিখেছিলাম যশরাজের সিনেমা মানেই গানে ভরা - আর এই সিনেমাতে, ভাবতে ভয় আর ভালো লাগে, একটাও গান নেই। ওই যে "জাবরা ফ্যান" গানটা দেখাচ্ছিল প্রোমোতে, ওটা সত্যিই শুধু প্রোমো। ব্যাস। আর কিছুই ভালো নেই এতে। স্ক্রিপ্টের লজিক "হ্যাপি নিউ ইয়ার"এর সাথে তুলনীয়। ট্রেনে ওঠার পর থেকে সংলাপ-স্টাইল মাঝে মাঝে "দিলয়ালে"কে হার মানায়। ডিওপি নিয়ে কি বলব - হালের মধ্যে "দেখ তামাশা দেখ" বা "কোর্ট"এর মত সস্তা সিনেমায় যা ক্যামেরাকাজ দেখিয়েছে, তার কাছে যেতে এইসব কমার্শিয়াল ছবির আরো একশো বছর লাগবে। ও হ্যাঁ, আর বোম্বের ওই হোটেলের ফাইট/চেজ সিকোয়েন্সটা আমার ব্যাপক লেগেছে, কিন্তু টেকনিক্যালি বোধ হয় খুব একটা ভালো না। এডিটিং প্রায় খুঁতহীন, কিন্তু পুরোটাই একেবারে টেক্সটবুক। যদি সত্যিই সত্যিই কোনো অ্যাস্পেক্টকে স্যালুট দিতে হয়, সেটা হল পোস্ট-প্রোডাকশন। হ্যাঁ মশাই, অপর্ণা সেন থেকে রবার্ট ডাউনি (জুঃ) সবাই বলেছেন যে ডিভিডি কমেন্টারি পর্যন্ত সবই পার্ট অফ দ্য ফিল্ম বলে গণ্য হবে।

তো এবার যে ট্রেন্ডের কথা হচ্ছিল, তাতে ফিরি। শাহরুখ তো নিজেকে রিপিট করে যাচ্ছেন, সে তো বলা হল। আরেকটা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মত ট্রিভিয়া প্রায়শঃই চোখ এড়িয়ে যায় (সেটা অবশ্যই সিনেমাগুণে)। দেখুন, আমরা যতই প্রাণের বন্ধু টন্ধু বলি না কেন, জানবেন আমার প্রবলতম প্রতিযোগী কিন্তু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, রুমমেট আর যে কলিগের সাথে রোজ টিফিন খাই। অতএব সে আর আমি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্যে একই ব্রান্ডের টি-শার্ট কিনব, আমাদের ম্যানেজার রা নতুন প্রসেস চালু করে আমাদের একই জায়গায় আঙ্গুল করবেন, নেতানেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই একসাথে রেজিস্টার করবেন আর আমির সলমন শাহরুখ সবাই আবার এই বুড়ো বয়সে ডবল রোল করবেন। এদিকে একবার কিন্তু হয়ে গেছে "ডুপ্লিকেট"/"জুড়য়া" তে। কিন্তু তাতে কার কী এসে যায় - অজয় দেবগ্ন আমিত কুমারের মত অত টাইট পুলিশ করার পরে আরেকবার নাক কেটে বাজীরাও সিঙ্ঘম করেননি?! আরো আছে, নীচে কয়েকটি উদাঃ দেওয়া হল

  ১। মুষ্টিযুদ্ধ > শাহরুখ@হ্যাপি নিউ ইয়ার, সলমন@সুলতান, আমির@দঙ্গল
  ২। প্যাক > আমির@গজনী, শাহরুখ@হ্যাপি নিউ ইয়ার, সলমন@কোথায় নেই?!
  ৩। ধর্মনিরপেক্ষতা > শাহরুখ@মাই নেম ইজ খান, সলমন@বজরঙ্গি ভাইজান, আমির@পিকে
  ৪। পুনর্যুবা ভবঃ > আমির@৩ ইডিয়টস, শাহরুখ@ফ্যান, আর ভাই তো অনন্ত যৌবনের দূত
  ৫। রেট্রো ফর মেট্রো > দিবাকর@ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বকশী!, অনুরাগ@বোম্বে ভেলভেট

এই রে, এটা কী হল?! হঠাৎ আবার এঁরা কেন?! কেন, এনাদের নিয়ে কিছু বলা যাবে না নাকি?! শুনুন, বাকস্বাধীনতার উৎসবে মনে রাখা দরকার যে রবীন্দ্রনাথ আর গান্ধীদের খিস্তি মারা তো অনেক পুরনো ব্যাপার, আমাদের মুখে এখন নাসিরুদ্দিন শাহ বা ওম পুরীকেও ম্যানারিজম-আক্রান্ত বলতেও বাধে না। এখনকার হিসেবে ব্লাসফেমি তখনই হবে যখন সত্যজিত রায়ের ছবিগুলোকে তুলোধোনা করা শুরু হবে। তারপরে উষা উত্থুপ, পারলে ট্যারান্টিনো। ততক্ষণে "ফ্যান" দেখে নিন, আর তার পরে এই ভিডিওটা। আমি দিনে দিনে শ্রী কমল রশিদ খানের ফ্যান হয়ে যাচ্ছি ওনার ডিজেল-সততার জন্যে।



_________________________________
* নাকি উচ্চারণ টা হবে স্করসিজ, স্যাম্বাজারের মনসিজের মত?!

Wednesday, April 20, 2016

লাভ শটস - ল্যাদ খাওয়া "অ্যাসপিরান্ট"দের গা জ্বলুনি


ওয়াইআরএফ থেকে ৬টা শর্ট ফিল্ম বার করেছে - তাতে, যাতে যশ রাজের ছাপ থাকে স্পষ্ট, লাগিয়েছে ৩-৪ মিনিটের লম্বা লম্বা গান। তা কথাটা হলো, যেখানে শিল্পীর স্বাধীনতা খানিকটা ট্রিম হয়ে যাচ্ছে সময়ের অভাবে, সেই স্পেসিফিক মিডিয়ামের জন্যে ফর্মাট কতটা ভাঙ্গা যাবে। সে অবশ্য শিল্পীর স্বাধীনতা (এখানে স্বাধীনতা = সত্তা) প্রত্যেকটি শিল্প ইউনিট এই কিছুটা খর্ব হয়, কারণ ক্রিস গেল হলে মাঠ ছোট, আশুতোষ গোয়ারিকারের হিসেবে ~৯০ মিনিটটা একটা মিথ, আর শুভাপ্রসন্নর জন্যে তো দুরন্তর দেয়ালও কম পড়ে গেছিল। সে অন্য তর্ক। এখানে ইউটিউবের ইউজাররা তেড়ে খিস্তি মেরেছে ফিল্ম গুলোকে - কেননা সব কটা ফিল্মের শেষে একটা করে গান রয়েছে। তো হিসেব মত এক একটার লেংথ দেখাচ্ছে ~১০ মিনিট করে, কিন্তু মোটামুটি ৫ মিনিটেই সব সিনেমা শেষ। বাকি টাইমে চলছে পরের ফিল্মটার প্রোমো, গান আর এই ফিল্ম সিরিজের থিম। লোকজনের ঝাঁট জ্বলার কারণটাও ভ্যালিড। ঝামেলা শুরু হলো যখন "ফায়ার্ড" বলে একটা ফিল্ম আপলোড করা হলো যেটা ৭ মিনিটের চেয়েও লম্বা। সবাই বাকি ছবিগুলো কে তুলনা করতে লাগলো এই বলে যে "এইটায় অন্তত গানের চেয়ে সিনেমা বড়", এবং অবশ্যই, তার কাউন্টারে আরো চোপা। প্রথমে তো পাবলিক খেপে গেল এই জন্যে যে এদের মত চূড়ান্ত বাণিজ্যিক কোম্পানি, যাদের সাথে আর্টের ন্যূনতম যোগাযোগ নেই, তারা শর্ট ফিল্ম বানানোর ধৃষ্টতা করে কি করে। শর্ট ফিল্ম হলো আঁতেল শহীদের আরেক লোগো - অনেকটা লিটল ম্যাগের মত। ফিল্ম স্কুলের সদ্য পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা বানাবে শর্ট ফিল্ম, নিদেনপক্ষে ইমতিয়াজ আলী বা রাজ-ডিকে। আরে তোদের যখন এত টাকা ফিচার বানাচ্ছিস না কেন?! সেটাও এক দিক দিয়ে ভাবলে সত্যি কথা। শর্ট ফিল্ম করা বানাতো, না যাদের ইচ্ছে আছে, অর্থ নেই।  অর্থাৎ দেখো ভাই আমিও শোলে বানিয়ে ফেলতাম, কিন্তু অত ফিল্ম কেনার টাকা নেই। ধীরে ধীরে কি হয়, যেটা আজকে কাল্ট, সেটা কালকে রজনীকান্ত ও করবেন কারণ এটাই কালচার হতে চলেছে। যেমন ধরুন কমিক্স, যেটা কিনা একটা পাল্প শিল্প ছিল, ভাবা যায় সেটা আজকে কি হারে ফ্যান বেস বাড়িয়েছে?! ছোট ছবির সাথেও তাই হলো, ট্রেন্ডের গুতোয় বড় শিল্পপতিরাও এইসব উদ্যোগ করছেন এখন। কিন্তু এতে চোখ টাটাচ্ছে তাদের যারা সারাক্ষণ ভেবে চলেছেন যে আমিও পারতাম কিন্তু সুযোগ পেলাম না। তারা অনেক বোঝেন, ট্যারান্টিনো গুলে খেয়েছেন, কোহেন ভ্রাতৃদ্বয়দের সাথে রোজ পাড়ায় আড্ডা দেন, নিজেদের অ্যানিমেশন সিরিজের বুদ্ধদেব বসু ভাবেন। কিন্তু কাজের বেলায় কিন্তু হর্ষ ভোগলে। তাদের দাবী হলো যে অনেক সুযোগ দেওয়া হলো তোমাদের (এদিকে যেদিন থেকে এই ওয়াই ফিল্মের উদ্যোগের ব্যাপারে বাজারে গল্প বেরিয়েছে, এনাদের কিন্তু সেদিন থেকে ফেসবুকে উল্টোপাল্টা কমেন্ট না করে ঘুম হচ্ছে না) এবারে থামো। এদিকে তাদের কাছে অনুরাগের সাতটা "বোম্বে ভেলভেট" ও মাফ। কারণ খুব সোজা, সেই আদি ও অকৃত্রিম শহীদবাজি।

এবার দেখা যাক, তর্কের সুপারফিশিয়াল লেবেল টা কী। উডবি নোলান থেকে বোলান (সব চরিত্র কাল্পনিক) সবার মুখে একটাই কথা - শর্ট ফিল্মে গান কেন?! কোন উইকিপিডিয়া তে লেখা আছে যে শর্ট ছবিতে গান রাখা মানা, না বেসিকালি, শর্ট ছবির সংজ্ঞাটাই বা কী। না, নামেই বলা হচ্ছে, শর্ট। তার মানে?! রানটাইমে নাকি বিষয়গুরুত্বে?! এখানে যেহেতু দ্বিতীয় কথাটা নিয়ে পন্ডিতমহলে প্রচুর কন্ট্রাস্ট, তাই অস্কার কমিটি ঠিক করেছেন যে সিনেমা (টাইটেল, সমাপ্ত আর নামটাম দেখানো মিলিয়ে) ৪০ মিনিটের মধ্যে পড়ছে, সেটাই শর্ট মুভি। তো এখানে কি হচ্ছে, না নাম দেখানো হল, গল্প হল, ক্রেডিট দেখাতে দেখাতে আরেকটা গান। হিসেব মিলে গিয়ে খাপে খাপ কুরোসাওার বাপ। আমি এখানে "আরটিস্টের পরীক্ষার কোনো সীমা থাকতে পারে না", এইটা নিয়ে কোনো তর্কেই আসছি না। যেই অস্কার কমিটি কোন হনুকে প্রাইজ দেয়নি বা কৃষ্ণাঙ্গদের নমিনেট করেনি বলে আমাদের ফেসবুকে সানি লিওনের ছবি দেখা আর টুইটারে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে জোক শেয়ার করা থেমে গেছিল, সেই অস্কার কমিটির মানদন্ড। সেটা বলতে গেলে ক্রিটিকরা বলছেন যে আর্টকে ওইভাবে বেঁধে দেওয়া যায় নাকি। তার উত্তরে যদি বলা হয় যে শিল্পীকেও তাহলে ফর্মাটের নামে বলা যাবে না যে "তুমি গরীব আর্টিস্টদের প্রতীক বের করেছ বেশ কথা, কিন্তু তার গায়ে ভোগবাদী স্টিকার লাগাতে দেব না" কারণ তাতেও টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন লোকজন "কটা ছোট ছবি দেখেচিস" বলে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিচ্ছে। হয়তো সত্যিই সেগুলো দেখা হয় নি, কিন্তু তাতে কী যায় আসে?! গতবার একটা শর্ট বেরিয়েছিল "লাভা" নামে, "ইনসাইড আউট" এর সাথে দেখানো হচ্ছিল (হুঁ হুঁ বাবা, নরেন্দ্র মোদী আসার পরে ইন্ডিয়াতে সব কেতের জিনিস আমদানী হয়েছে), সেটার টাইমলাইন নাকি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে চলছে। রেঞ্জের দিক দিয়ে এটা কী করে শর্ট ফিল্ম হল তাহলে?! সেই প্রশ্ন (যদিও অর্থহীন) কেউ করবে না কারণ পিক্সার হয়েছে ফ্যানবয়দের জন্যে ইন্ডাস্ট্রির উষা উত্থুপের মত। কেউ অপছন্দ করেন না। কিংবা যখন "শর্টস" বলে কয়েকটা শর্ট ছবির সঙ্কলন পাঞ্চ করে একটা গোটা ফিচার ফিল্ম বানিয়ে হলে হলে রিলিজ করা হচ্ছে (হলিউড বলিউড দুই জায়গাতেই), সেটাকে কেউ #কনজুমারিজম ট্যাগ করছে না সেই একই অল্পবিদ্যার অজুহাতে। আমেরিকারটার নির্দেশক রবার্ট রডরিগেজ (ট্যারান্টিনোর বন্ধু) আর দেশেরটার খরচা দিয়েছেন অনুরাগ নিজে, পুরো সেই গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরের কাস্ট, একটার ডিরেক্টর অনুরাগের নিজের বোন। একটাতেও কিছু বলা যাবে না। অতএব, যতক্ষণ না পর্যন্ত "ওম দরবদর" বুঝতে পারছি*, ততক্ষণ কনভেনিয়েন্ট প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা চালিয়ে যাই।

~এবারে বই কেমন হল সেটা~

রোড ট্রিপ : আঁতলেমির ক্ষেত্রে এখনও মহামতি গোখলের কথা হাড়ে হাড়ে সত্যি - গল্পটা পাতি "খাদ"এর মিনি ভার্শন। কিন্তু অভিনয় ভাল, কিন্তু মিয়া বিবির কিছু করার থাকে না যখন কাজীসাহেব রাজি না হন।
কোই দেখ লেগা : যেটা সিনেমাটার ইউএসপি হতে পারত, সেখানেই পরিচালক মেরে রেখেছেন। অসম্ভব প্রেডিক্টেবল।
টেক্সটবুক : নামকরণ সার্থক। বইটায় অভিনয় কিছু নেই, কিন্তু দারুণ একটা সম্ভাবনাময় এন্ডিং রয়েছে। সেটা খানিকটা মিষ্টিও বটে :)।
স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট : আবার মহামতি গোখলে জিন্দাবাদ। যে নোংরামিটা সৌমিত্র/স্বাতীলেখাকে দিয়ে পণ্য বানিয়ে "বেলাশেষে"তে করা হয়েছিল, এখানেও সেই ম্যাস্কট হলেন কুলভুষণ খারবান্দা। ভদ্রলোক এই সিনেমাটায় মনে হয় জীবনের সব থেকে কম ফ্রাস্ট্রু খাওয়া রোল করলেন।
ফায়ার্ড : সবথেকে লম্বা বলে বলছি না, ইমোশন মেখে টেখে এটাই সিরিজের বেস্ট। টুইস্টও রাখা গেছে ঠিকঠাক, মেসেজও ডেলিভার হয়েছে মনের মত। অবশ্য যদি কেউ প্রচুর কোরিয়ান বই (বা রেস/রেস-২) দেখে ফেলেন তাদের জন্যে মনোজ শ্যামলনও নতুন কিছু দেওয়ার দাবী করতে পারেন না।
দ্য বিগ ডেট : রিয়া চক্রবর্তী অতক্ষন ধরে সাজগোজ করছিলেন কেন?!?!?!?!?!

অরিজিনাল লিঙ্ক



_______________________________________________________
*আর আমাদের ক্ষেত্রে, 'যতক্ষণ না ওটা টরেন্ট থেকে নামাতে পারছি'। জেনে রাখুন, যতই ফিল্ম/সমালোচকদের তুলোধোনা করি, আমরাও ট্যারান্টিনো-চূরণের প্যাকেট কাছে রাখি, কোহেনদের আড্ডায় ফ্রিতে চা খাই আর নিজেদের অ্যানিমেশন সিরিজের চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ভাবি।

Monday, April 18, 2016

Pirates of the Caribbean : Sinbad The Sailor

Pirates of the Caribbean : Chhod Aayein Hum

Sunday, March 27, 2016

बॉलीवुड लूटेरा मैशअपस के टीज़र pirates of the caribbean : bollywood mashu...