এবার দেখা যাক, তর্কের সুপারফিশিয়াল লেবেল টা কী। উডবি নোলান থেকে বোলান (সব চরিত্র কাল্পনিক) সবার মুখে একটাই কথা - শর্ট ফিল্মে গান কেন?! কোন উইকিপিডিয়া তে লেখা আছে যে শর্ট ছবিতে গান রাখা মানা, না বেসিকালি, শর্ট ছবির সংজ্ঞাটাই বা কী। না, নামেই বলা হচ্ছে, শর্ট। তার মানে?! রানটাইমে নাকি বিষয়গুরুত্বে?! এখানে যেহেতু দ্বিতীয় কথাটা নিয়ে পন্ডিতমহলে প্রচুর কন্ট্রাস্ট, তাই অস্কার কমিটি ঠিক করেছেন যে সিনেমা (টাইটেল, সমাপ্ত আর নামটাম দেখানো মিলিয়ে) ৪০ মিনিটের মধ্যে পড়ছে, সেটাই শর্ট মুভি। তো এখানে কি হচ্ছে, না নাম দেখানো হল, গল্প হল, ক্রেডিট দেখাতে দেখাতে আরেকটা গান। হিসেব মিলে গিয়ে খাপে খাপ কুরোসাওার বাপ। আমি এখানে "আরটিস্টের পরীক্ষার কোনো সীমা থাকতে পারে না", এইটা নিয়ে কোনো তর্কেই আসছি না। যেই অস্কার কমিটি কোন হনুকে প্রাইজ দেয়নি বা কৃষ্ণাঙ্গদের নমিনেট করেনি বলে আমাদের ফেসবুকে সানি লিওনের ছবি দেখা আর টুইটারে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে জোক শেয়ার করা থেমে গেছিল, সেই অস্কার কমিটির মানদন্ড। সেটা বলতে গেলে ক্রিটিকরা বলছেন যে আর্টকে ওইভাবে বেঁধে দেওয়া যায় নাকি। তার উত্তরে যদি বলা হয় যে শিল্পীকেও তাহলে ফর্মাটের নামে বলা যাবে না যে "তুমি গরীব আর্টিস্টদের প্রতীক বের করেছ বেশ কথা, কিন্তু তার গায়ে ভোগবাদী স্টিকার লাগাতে দেব না" কারণ তাতেও টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন লোকজন "কটা ছোট ছবি দেখেচিস" বলে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিচ্ছে। হয়তো সত্যিই সেগুলো দেখা হয় নি, কিন্তু তাতে কী যায় আসে?! গতবার একটা শর্ট বেরিয়েছিল "লাভা" নামে, "ইনসাইড আউট" এর সাথে দেখানো হচ্ছিল (হুঁ হুঁ বাবা, নরেন্দ্র মোদী আসার পরে ইন্ডিয়াতে সব কেতের জিনিস আমদানী হয়েছে), সেটার টাইমলাইন নাকি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে চলছে। রেঞ্জের দিক দিয়ে এটা কী করে শর্ট ফিল্ম হল তাহলে?! সেই প্রশ্ন (যদিও অর্থহীন) কেউ করবে না কারণ পিক্সার হয়েছে ফ্যানবয়দের জন্যে ইন্ডাস্ট্রির উষা উত্থুপের মত। কেউ অপছন্দ করেন না। কিংবা যখন "শর্টস" বলে কয়েকটা শর্ট ছবির সঙ্কলন পাঞ্চ করে একটা গোটা ফিচার ফিল্ম বানিয়ে হলে হলে রিলিজ করা হচ্ছে (হলিউড বলিউড দুই জায়গাতেই), সেটাকে কেউ #কনজুমারিজম ট্যাগ করছে না সেই একই অল্পবিদ্যার অজুহাতে। আমেরিকারটার নির্দেশক রবার্ট রডরিগেজ (ট্যারান্টিনোর বন্ধু) আর দেশেরটার খরচা দিয়েছেন অনুরাগ নিজে, পুরো সেই গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরের কাস্ট, একটার ডিরেক্টর অনুরাগের নিজের বোন। একটাতেও কিছু বলা যাবে না। অতএব, যতক্ষণ না পর্যন্ত "ওম দরবদর" বুঝতে পারছি*, ততক্ষণ কনভেনিয়েন্ট প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা চালিয়ে যাই।
~এবারে বই কেমন হল সেটা~
রোড ট্রিপ : আঁতলেমির ক্ষেত্রে এখনও মহামতি গোখলের কথা হাড়ে হাড়ে সত্যি - গল্পটা পাতি "খাদ"এর মিনি ভার্শন। কিন্তু অভিনয় ভাল, কিন্তু মিয়া বিবির কিছু করার থাকে না যখন কাজীসাহেব রাজি না হন।
কোই দেখ লেগা : যেটা সিনেমাটার ইউএসপি হতে পারত, সেখানেই পরিচালক মেরে রেখেছেন। অসম্ভব প্রেডিক্টেবল।
টেক্সটবুক : নামকরণ সার্থক। বইটায় অভিনয় কিছু নেই, কিন্তু দারুণ একটা সম্ভাবনাময় এন্ডিং রয়েছে। সেটা খানিকটা মিষ্টিও বটে :)।
স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট : আবার মহামতি গোখলে জিন্দাবাদ। যে নোংরামিটা সৌমিত্র/স্বাতীলেখাকে দিয়ে পণ্য বানিয়ে "বেলাশেষে"তে করা হয়েছিল, এখানেও সেই ম্যাস্কট হলেন কুলভুষণ খারবান্দা। ভদ্রলোক এই সিনেমাটায় মনে হয় জীবনের সব থেকে কম ফ্রাস্ট্রু খাওয়া রোল করলেন।
ফায়ার্ড : সবথেকে লম্বা বলে বলছি না, ইমোশন মেখে টেখে এটাই সিরিজের বেস্ট। টুইস্টও রাখা গেছে ঠিকঠাক, মেসেজও ডেলিভার হয়েছে মনের মত। অবশ্য যদি কেউ প্রচুর কোরিয়ান বই (বা রেস/রেস-২) দেখে ফেলেন তাদের জন্যে মনোজ শ্যামলনও নতুন কিছু দেওয়ার দাবী করতে পারেন না।
দ্য বিগ ডেট : রিয়া চক্রবর্তী অতক্ষন ধরে সাজগোজ করছিলেন কেন?!?!?!?!?!
অরিজিনাল লিঙ্ক
_______________________________________________________
*আর আমাদের ক্ষেত্রে, 'যতক্ষণ না ওটা টরেন্ট থেকে নামাতে পারছি'। জেনে রাখুন, যতই ফিল্ম/সমালোচকদের তুলোধোনা করি, আমরাও ট্যারান্টিনো-চূরণের প্যাকেট কাছে রাখি, কোহেনদের আড্ডায় ফ্রিতে চা খাই আর নিজেদের অ্যানিমেশন সিরিজের চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ভাবি।
0 comments:
Post a Comment