নতুন বছর। মাঝে আড়াই বছরের গ্যাপ ছিল, আর বাড়িও আড়াই বছর যেতে পারি নি। ল্যাদ ছাড়া আর কোনো কারণই নেই। আর মনে হয় একটু বেশি ইন্ডিকা টানা হয়ে যাচ্ছিল। এই আড়াই বছরে কি পরিবর্তন হয়েছে?! না, কিছু না। আমি বিয়ে করি নিই, সুইচ-ও না। আর বাইরে?! ও বাবা, প্রথম দর্শনে অবশ্য ভয়ানক একটা ভাইব পাওয়া যাবে। রাজ্যে, দেশে, বিশ্বে। সৌম্যদার কথা খুব মনে পড়ে। আমি মাল খাওয়ার সময়ে একটু রাজনীতি নিয়ে অ্যামেচারিশ ভাট বকতে ভালবাসতাম। কিন্তু যখনই মমতা ব্যানার্জির কথা উঠতো, সৌম্যদা একটা ব্যাজার মুখ করে বলত ঐ লোকটার নাম না নিতে, তাতে নাকি ওনার নেশা চটকে যাবে। ভাবতুম আদিখ্যেতা। এখন আমার পুরো সিস্টেমের উপর ঐ ফিলিংটা হচ্ছে। কারণ অনেক থাকতে পারে। চাকরিতে প্রসন্নতা নেই। এই বয়সেও বিয়ে হচ্ছে না। ভাল জিনিস মর্যাদা পাচ্ছে না দেখতে পাওয়া। খারাপ লোক বলে যাদের ভাবতুম তাদের পর পর সাকসেস। আর সিপিএম এর কোমর ভাঙ্গার খবর তো আছেই। ভাবুন একবার, লাস্ট ইলেক্শনে যে কটা সিট পেয়েছে, সেটা কোথা থেকে, পঃবঃ না, ত্রিপুরা না, কেরল না, তামিলনাডু। নবারুণ ভট্টাচার্য ঐ কিউএর ডকুমেন্টারীতে বলেছেন, নাইন্টিজে সোভিয়েত ইউনিয়ন কোলাপ্স হওয়ার পরে উনি নাকি ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন, আর আমি এইটুকু প্রিটেন্ড করতে পারব না?!
কিন্তু উলটোটাও ভেবে দেখুন। বাবা এবং পিতৃস্থানীয় সবাইকে আমার ছোটবেলায় খুব রেন্ডিরোনা করতে দেখেছি এই বলে যে সিপিএম আর কংগ্রেস মিলে আমাদের সর্বনাশ করে দিল আর জীবনমুখী গান স্বর্ণযুগের কাছে কিছুই না। আমি কলেজে থাকাকালীন নিজে খুব সচেতন হয়েছিলাম যে আর যাই হোক ভাই, এই কাঁদুনি কোনো দিন গাইব না। কিন্তু ঘুরে ফিরে ঐ হল। আমি নতুন অ্যাক্ট্রেসদের নাম জানি না, ধোনির পরের জেনারেশন সম্পর্কে কোনো আগ্রহই নেই যেনো। আরেকটা বিশাল অব্জারভেশন, একের পর এক লোক মরে যাচ্ছে। মানে, যাদের আমি নাম জানি। সব ফিল্ডেই। আমাদের প্রজন্মের [একেকটা প্রজন্মের যে আলাদা আলাদা নাম আছে, সেটাও এই লাস্ট আড়াই বছরে জানা] যে কেউ এটা পরখ করে দেখতে পারেন। দেখা যাবে যে প্রত্যেক মাসে এক বা একাধিক ফেমাস লোক টপাটপ গত হচ্ছেন। এমনকি চেনা পরিচিত বৃত্তের মধ্যেও। এটাকে যতটা জেনেরিক নস্টালজিয়া বলে গ্লোরিফাই করা হয়, আমার মনে হয় তা না। আসলে আমাদের সবার সমকালীন কিছু হিরো থাকে। এবং তাদের আমরা এতোটাই ভালবেসে ফেলি যে ফ্যানবয় থেকে ফ্যানাটিক হতে বেশি টাইম লাগে না। তারপর আর কাউকে পছন্দই হয় না। এক হিসেবে দেখলে, এটাকেই হয়ত নস্টালজিয়া বলে। তারকোভস্কি বেঁচে থাকলে এর উপর একটা সিকুয়েল বানাতে পারতেন
তো মানেটা কি হল, এই যে এতো আলোচনা ও চোদন, তার কোনো তাৎপর্য থাকবে না?! প্রথম কথা হল, ২০২০এ এসে আর তাৎপর্য নিয়ে এতটা মাথা না ঘামালেও চলবে। জীবনে প্রচুর জিনিস আছে, যার কোনো এফেক্টিভনেস নেই। যুদ্ধ, সিগারেট ইত্যাদি। যদি অ্যাবসলিউট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়। আবার কেউ বলতে পারেন, অ্যাবসলিউট বলে কিছু হয়না, সে কথাও আমি মানতে রাজি। সেকেন্ডলি, আমি আগে বলতাম সবাইকে বুঝতে হবে অন্য একটা লোকের পার্সপেক্টিভ, আর এখন বলছি পোদ মারাও। আমি আশা ছাড়ি নি, ছাড়লে এইগুলো লিখতাম না, কিন্তু ঐ শশাঙ্ক রিডেম্পশনের মত ধেই ধেই করে সেলিব্রেট করার কথাও ভাবছি না। সরকারের মতোই, "পিপল গেট" দা প্রোডাক্ট অ্যান্ড সার্ভিস "দে ডিসার্ভ"। যুগ যুগ ধরে এই চলছে। সামনেও এই চলবে। অবশ্য ছোটো ছোটো স্পেস, প্রান্তিক বাবলগুলো কে বেশি মর্যাদা দেব, কিন্তু সেটা একান্তই আমার চয়েস যেটাকে আজকাল বলা হয় IMO। আমি উৎকর্ষের চেয়ে মৌলিক/স্বাধীন মতামত কে বেশি পছন্দ করি, সেটার কারণ অন্য। আজকাল অনেক কিছুই খারাপ হচ্ছে, কিন্তু সেটা খারাপ হওয়ার ধর্ম, আজকালের নয়।
কারণ খারাপ সব সময়েই হয়ে এসেছে। আই মীন, যে জিনিসগুলো তথাকথিত খারাপ।এখানে পাইরেটস অফ দা ক্যারিবিয়ানের খারাপ ভালোর পার্থক্য ভুলে যাওয়ার কনসেপ্টটাও দ্রষ্টব্য। প্রাচীন যুগে ঐ একজন করে আর্কিমিডিস, বা খনা, বা সত্যকাম, বা পারসিয়াস, বা বিদ্যাসাগর, বা আনন্দী গোপাল, বা ডায়োজিনিস ছিলেন। কিন্তু বাকিদের, যাদের ইতিহাস পাওয়া যায় না, তারা তো বেকার। একবার যদি নিজের টিমটার প্রতি ঝলক দেওয়া যায়, বোঝা যাবে বেশির ভাগ লোকই অকর্মন্য। এই যে ন্যাশনাল টিমে লোকের জায়গা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সবই কি আর পলিটিক্স?! দেখবেন বেশির ভাগ নেতা ও মন্ত্রী করাপ্টেড বা বেশির ভাগ শর্ট ফিল্ম জঘন্য। কারণ, এটাই নিয়ম এবং বেল কার্ভ। ২০০০ টা গল্পও ছাপালে ৫০ টা অসাধারণ হবে, ২০০ টা ছাপালে ৫ টা। সেই জন্যেই, কোয়ালিটি পাওয়ার জন্যে কোয়ান্টিটি এত প্রয়োজনীয় একটা ফ্যাক্টর। অবশ্যই সবাই কবি নয়, কিন্তু "সকলেই" চেষ্টা করছে বলেই "কেউ কেউ" উঠে আসছে। এটা বলছি না যে ইচ্ছে করে বাজে কাজ করতে হবে, কিন্তু অর্গানিক্যালি এইটাই হয়ে এসেছে আর এর থেকে কোনো মুক্তির পথ আপাতত দেখা যাচ্ছে না
এই রকম ভাবে শুরু করা যাক তাহলে। খুব, খুব সিনিক। কি করব বলুন। প্যাসিভলি দেখতে গিয়ে, যাকে সংস্কৃতে তটস্থ বিচার বলা হয়, আর কোনো প্যাটার্ন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরে জানবেন পয়সা করাপ্টস এভরিথিং। এই যে অ্যাদ্দিন ধরে একটা পুঁজিবাদী দেশে থেকে ভুঁড়ি বাড়াচ্ছি, তার একটা তো কুফল পাওয়া যাবে। অ্যানিমাল ফার্মে বলা হয়েছে ক্ষমতা করাপ্টস । কিন্তু একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে, এটা যে কোনও কনভেনিয়েন্সের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দেখবেন পুরোনো সিনেমায় ভানু ব্যানার্জির ছেলে [সৌমিত্র] বিদেশে থাকতো আর অনেক গুলো বদ-অভ্যাস নিয়ে দেশে ফিরত। সেটা আমেরিকা বলে নয়। টাকা আছে বলে। আমেরিকা তে এসে সৌমিত্রকে যদি মল বা দোকানে কাজ করতে হত, তাহলে হয়ত একটু বেশি বিনম্রতা পাওয়া যেত। ফিরে আসি সেই সেল্ফ জাস্টিফিকেশনে, আমার দোষ নেই মা, এই যে ক্ষমতা বা অর্থের প্রাচুর্য, তাতেই আমি নষ্ট হয়ে গেলুম। আজকাল অবশ্য খ্যাতিকে এদেরই স্যাঙাত বলা চলে। এই রকম একটা ডার্ক এবং আনসেটলিং মুড নিয়ে এবার কামব্যাক করা যাক। মাঝে মধ্যে অবশ্য মুড সুইং হতেই পারে। সবার উপর কনটেন্ট সত্য, তাহার উপর মাই
কিন্তু উলটোটাও ভেবে দেখুন। বাবা এবং পিতৃস্থানীয় সবাইকে আমার ছোটবেলায় খুব রেন্ডিরোনা করতে দেখেছি এই বলে যে সিপিএম আর কংগ্রেস মিলে আমাদের সর্বনাশ করে দিল আর জীবনমুখী গান স্বর্ণযুগের কাছে কিছুই না। আমি কলেজে থাকাকালীন নিজে খুব সচেতন হয়েছিলাম যে আর যাই হোক ভাই, এই কাঁদুনি কোনো দিন গাইব না। কিন্তু ঘুরে ফিরে ঐ হল। আমি নতুন অ্যাক্ট্রেসদের নাম জানি না, ধোনির পরের জেনারেশন সম্পর্কে কোনো আগ্রহই নেই যেনো। আরেকটা বিশাল অব্জারভেশন, একের পর এক লোক মরে যাচ্ছে। মানে, যাদের আমি নাম জানি। সব ফিল্ডেই। আমাদের প্রজন্মের [একেকটা প্রজন্মের যে আলাদা আলাদা নাম আছে, সেটাও এই লাস্ট আড়াই বছরে জানা] যে কেউ এটা পরখ করে দেখতে পারেন। দেখা যাবে যে প্রত্যেক মাসে এক বা একাধিক ফেমাস লোক টপাটপ গত হচ্ছেন। এমনকি চেনা পরিচিত বৃত্তের মধ্যেও। এটাকে যতটা জেনেরিক নস্টালজিয়া বলে গ্লোরিফাই করা হয়, আমার মনে হয় তা না। আসলে আমাদের সবার সমকালীন কিছু হিরো থাকে। এবং তাদের আমরা এতোটাই ভালবেসে ফেলি যে ফ্যানবয় থেকে ফ্যানাটিক হতে বেশি টাইম লাগে না। তারপর আর কাউকে পছন্দই হয় না। এক হিসেবে দেখলে, এটাকেই হয়ত নস্টালজিয়া বলে। তারকোভস্কি বেঁচে থাকলে এর উপর একটা সিকুয়েল বানাতে পারতেন
তো মানেটা কি হল, এই যে এতো আলোচনা ও চোদন, তার কোনো তাৎপর্য থাকবে না?! প্রথম কথা হল, ২০২০এ এসে আর তাৎপর্য নিয়ে এতটা মাথা না ঘামালেও চলবে। জীবনে প্রচুর জিনিস আছে, যার কোনো এফেক্টিভনেস নেই। যুদ্ধ, সিগারেট ইত্যাদি। যদি অ্যাবসলিউট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়। আবার কেউ বলতে পারেন, অ্যাবসলিউট বলে কিছু হয়না, সে কথাও আমি মানতে রাজি। সেকেন্ডলি, আমি আগে বলতাম সবাইকে বুঝতে হবে অন্য একটা লোকের পার্সপেক্টিভ, আর এখন বলছি পোদ মারাও। আমি আশা ছাড়ি নি, ছাড়লে এইগুলো লিখতাম না, কিন্তু ঐ শশাঙ্ক রিডেম্পশনের মত ধেই ধেই করে সেলিব্রেট করার কথাও ভাবছি না। সরকারের মতোই, "পিপল গেট" দা প্রোডাক্ট অ্যান্ড সার্ভিস "দে ডিসার্ভ"। যুগ যুগ ধরে এই চলছে। সামনেও এই চলবে। অবশ্য ছোটো ছোটো স্পেস, প্রান্তিক বাবলগুলো কে বেশি মর্যাদা দেব, কিন্তু সেটা একান্তই আমার চয়েস যেটাকে আজকাল বলা হয় IMO। আমি উৎকর্ষের চেয়ে মৌলিক/স্বাধীন মতামত কে বেশি পছন্দ করি, সেটার কারণ অন্য। আজকাল অনেক কিছুই খারাপ হচ্ছে, কিন্তু সেটা খারাপ হওয়ার ধর্ম, আজকালের নয়।
কারণ খারাপ সব সময়েই হয়ে এসেছে। আই মীন, যে জিনিসগুলো তথাকথিত খারাপ।এখানে পাইরেটস অফ দা ক্যারিবিয়ানের খারাপ ভালোর পার্থক্য ভুলে যাওয়ার কনসেপ্টটাও দ্রষ্টব্য। প্রাচীন যুগে ঐ একজন করে আর্কিমিডিস, বা খনা, বা সত্যকাম, বা পারসিয়াস, বা বিদ্যাসাগর, বা আনন্দী গোপাল, বা ডায়োজিনিস ছিলেন। কিন্তু বাকিদের, যাদের ইতিহাস পাওয়া যায় না, তারা তো বেকার। একবার যদি নিজের টিমটার প্রতি ঝলক দেওয়া যায়, বোঝা যাবে বেশির ভাগ লোকই অকর্মন্য। এই যে ন্যাশনাল টিমে লোকের জায়গা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সবই কি আর পলিটিক্স?! দেখবেন বেশির ভাগ নেতা ও মন্ত্রী করাপ্টেড বা বেশির ভাগ শর্ট ফিল্ম জঘন্য। কারণ, এটাই নিয়ম এবং বেল কার্ভ। ২০০০ টা গল্পও ছাপালে ৫০ টা অসাধারণ হবে, ২০০ টা ছাপালে ৫ টা। সেই জন্যেই, কোয়ালিটি পাওয়ার জন্যে কোয়ান্টিটি এত প্রয়োজনীয় একটা ফ্যাক্টর। অবশ্যই সবাই কবি নয়, কিন্তু "সকলেই" চেষ্টা করছে বলেই "কেউ কেউ" উঠে আসছে। এটা বলছি না যে ইচ্ছে করে বাজে কাজ করতে হবে, কিন্তু অর্গানিক্যালি এইটাই হয়ে এসেছে আর এর থেকে কোনো মুক্তির পথ আপাতত দেখা যাচ্ছে না
এই রকম ভাবে শুরু করা যাক তাহলে। খুব, খুব সিনিক। কি করব বলুন। প্যাসিভলি দেখতে গিয়ে, যাকে সংস্কৃতে তটস্থ বিচার বলা হয়, আর কোনো প্যাটার্ন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরে জানবেন পয়সা করাপ্টস এভরিথিং। এই যে অ্যাদ্দিন ধরে একটা পুঁজিবাদী দেশে থেকে ভুঁড়ি বাড়াচ্ছি, তার একটা তো কুফল পাওয়া যাবে। অ্যানিমাল ফার্মে বলা হয়েছে ক্ষমতা করাপ্টস । কিন্তু একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে, এটা যে কোনও কনভেনিয়েন্সের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দেখবেন পুরোনো সিনেমায় ভানু ব্যানার্জির ছেলে [সৌমিত্র] বিদেশে থাকতো আর অনেক গুলো বদ-অভ্যাস নিয়ে দেশে ফিরত। সেটা আমেরিকা বলে নয়। টাকা আছে বলে। আমেরিকা তে এসে সৌমিত্রকে যদি মল বা দোকানে কাজ করতে হত, তাহলে হয়ত একটু বেশি বিনম্রতা পাওয়া যেত। ফিরে আসি সেই সেল্ফ জাস্টিফিকেশনে, আমার দোষ নেই মা, এই যে ক্ষমতা বা অর্থের প্রাচুর্য, তাতেই আমি নষ্ট হয়ে গেলুম। আজকাল অবশ্য খ্যাতিকে এদেরই স্যাঙাত বলা চলে। এই রকম একটা ডার্ক এবং আনসেটলিং মুড নিয়ে এবার কামব্যাক করা যাক। মাঝে মধ্যে অবশ্য মুড সুইং হতেই পারে। সবার উপর কনটেন্ট সত্য, তাহার উপর মাই
0 comments:
Post a Comment