Sunday, February 2, 2020

CRITIC : unlimited pretension

আমার লাস্ট লেখা সব ২০১৭ এর আগে। আমি যেখানে কাজ করি সেখানে ২০১৭-র জানুয়ারিতে একটা বড়ো টেকনিকাল আপগ্রেড ছিল, আর সেটা ফাটে। ঐ যে শুরু হল, সেই ধুঁয়োতে কাজ আর জীবন দুটোই ভালো মার খেল। এখন অবশ্য অনেকটাই হাগা পরিষ্কার করা গেছে, কিন্তু জানবেন নিজে না চাইলে কেউ বাঙ্গালিত্ব ভোলে না আর বাঙ্গালির অ্যাট লিস্ট তিনটে হাত। আমি, খুব প্রফেশনালদের মত, নিজে একটা লিস্ট-ও বানিয়েছিলাম আর কি কি নিয়ে কায়দা মারবো বলে, সেটা সেই লিস্টেই পড়ে আছে। কবি বলেছেন, যেকোনো জিনিস এ তার ক্রিয়েটরকে রিফ্লেক্ট করে ["অ্যাজ মাচ অটোবায়োগ্রাফিক্যাল অ্যাজ ইন আদার.."], সেই জন্যে একটু ইচ্ছা হল সেই অসমাপ্ত কাজের কথা বলার। জানুজ কামিনস্কি বলেছেন যে ওনাকে জানতে হলে ওনার কাজ দেখতে হবে। আবার উলটো যুক্তিরও অভাব নেই। বিভূতিভূষণ ব্যানার্জির মত নিসর্গ-প্রেমিক লেখক নাকি বৌকে পেটাতেন ধরে ধরে। অতএব, ডিপেন্ডস। আমার কাছে এর থেকে বেটার মেটেরিয়াল আর কিছু নেই বলে আপাতত স্টিকি থেকেই ব্লগ ভরাচ্ছি। আমি এখনও বুঝে উঠতে পারি নি কি নিয়ে/কেমন ভাবে নতুন মাল গুলো আপলোড করব

লিস্ট হেব্বি লম্বা। সেই সময়ে নারীকেন্দ্রিক সিনেমার একটা ফ্যাশন ওঠে, সেই নিয়ে পয়েন্টারস অবধি রেডি ছিল। আরেকটা জিনিসের হিন্ট পুরোনো আর্টিকেলগুলোতে দিয়েছিলাম, সেটা হল অনুরাগ কাশ্যপ ও দিবাকর ব্যানার্জির পোদে লাগা, সেটাও মোটামুটি ভাবে তৈরি। আর কয়েকটা, যেগুলো ইন্সপায়ার্ড বাই তৎকালীন ফিল্ম এবং ফিল্মি ট্রেন্ড। যেমন লোগান থেকে 'genre mashup' আর টাইগার জিন্দা হ্যায় থেকে 'the dawn of big hits'। আমি তখন তিন-চার জনের কাছে কুয়েন্টিন দুপিয়ে [ট্যারান্টিনো নয়, আরেকজন] এর নাম শুনে খুব ভক্ত হয়ে গেছিলাম, সেটাও তো কিছু করা হয়নি। বাকি দুটো যেগুলো অলমোস্ট ফাইনাল ছিল তার একটা অনলাইন মুভি এক্সপ্ল্যানেশন বা ব্রেকডাউন নিয়ে, আর একটা খুব পার্সোনাল.. পূজোর নতুন বই কিছুতেই এখানে পাওয়া যায় না, আর বাইরের লোক পূজোর ছবি বলতে কিভাবে রিয়্যাক্ট করে, সেই সব মারানোর একটা আইডিয়া। তার পরে আর কয়েকটা জিনিস শুধু পয়েন্ট লিখে রেখেছিলাম, এই এতো বছর পরে বাকিটা ভুলে গেছি

আর এখন, এখন আমার প্ল্যান হল যতগুলো সম্ভব ব্যাকলগ ক্লিয়ার করা। তার আগে আছে বাছাই পর্ব। কি আগে নেব আর কোনটা কোনটা বাদ যাবে। যখন ভাবছি এগুলো, মোটামুটি সুরে যে কিছু টপিক অবসোলিট হয়ে গেছে আর কয়েকটা জিনিস নিয়ে অন্য লোকজন লিখে ফেলেছে, সেই গুলো বাদ দেওয়া যাক

তারও আবার কাউন্টার আছে। এই যে গত দশ বছর ধরে চেল্লাছি যে রেলিভ্যান্স বলে কিছু হয়না আর্টের ক্ষেত্রে, বা, ব্যাক্তিগত এফোর্টের থেকে আর ভাল কিছু হয়না, সেই থিওরি তো মাঠে মারা যাচ্ছে আমি যদি হ্যান্ডপিকিং করি। তাহলে, একটাই চিন্তা এখন, কি করব

এতক্ষন দেখে কি মনে হল?! খুব অ্যানালিটিক। তবে এই ফার্স্ট দুটো ফিচার লিখে কিন্তু আমার মনে হছে যে আমি, মুভির থেকে, নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি লিখছি এবার। যখন এই সেকেন্ড কলামটা লিখছি, ভাবছি যে সবগুলো পেন্ডিং ব্লগই লিখব, আর হয় গেলে, এটা থেকে হাইপারলিংকড করে দেব। খুব অ্যাম্বিশাস। দেখি কদ্দুর যায়। আর এই ছোটো ছোটো বাক্য দেখে মনে হচ্ছে যে রোরশাকের ডায়েরির প্রভাব তাও কম না। হ্যাঁ, এটা একটা আপডেট বটে। আমি, প্রায় ১৩-১৪ বছর পরে, একটা ইংরেজি বই কিনলুম। ফ্লুকে তো বটেই। লাস্ট কিনেছিলাম স্কুলে থাকতে, কাকে যেন একটা ইমপ্রেস করার জন্যে। অবশ্য এই বইটাও কেনা হয়েছে মোটামুটি ঐ রকম একটা প্রিটেনশন মারাতে। তবু ভাল, কিছু তো দেখা গেল। প্রসঙ্গত বলে রাখি, জ্যাক স্নাইডার কিন্তু হেব্বি প্লেন একটা অ্যাডাপটেশন করেছিলেন [আমরা শুধু সন্দীপ রায়কেই দোষ দিই ক্যানো]. এই দুটো ভিডিও দেখলে মোটামুটি একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে




0 comments:

Post a Comment